সংক্ষিপ্ত

রাজ্যে চার জনের শরীরে ওমিক্রনের নয়া উপরূপে সন্ধান। করোনাভাইরাসের সংক্রণ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই বললেন স্বাস্থ্য কর্তা।

 

রাজ্যে মিলল করোনাভাইরাসের ওমিক্রনের নয়া উপরূপ B.7 -র সন্ধান। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, চার জনের শরীরে পাওয়া গেছে B.7 ভাইরাস। প্রত্যেকেই বিদেশ তেকে ফিরেছেন। তবে এখনও পর্যন্ত তারা কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। সকলেই সুস্থ রয়েছে বলেও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর যে চার জনের শরীরে ওমিক্রনের নতুন উপরূপের সন্ধান পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে তিন জনই একই পরিবারের সদস্য। এক জন মহিলার শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া গেছে। সূত্রের খবর ডিসেম্বর মাসে আমেরিকা থেকে ফিরেছেন। তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর মাধ্যমেই জানা যায় তাদের শরীরে রয়েছে B.7 ভ্যারিয়েন্ট।

স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তারা প্রত্যেকেই বাড়িতে নিভৃতবাসে ছিলেন। তাই তাদের থেকে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। রাজ্যে দীর্ঘ দিন ধরেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০এর নিচে রয়েছে। ওই চার জনের থেকে কেউ যদি আক্রান্ত হত তাহলে তার পরিসংখ্যান এতদিনে ধরা পড়ত। কিন্তু তেমন কিছু এখনও পর্যন্ত ধরা পড়েনি।

বর্তমানে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। দেশের পাশাপাশি বিশ্ব জুড়েই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। চিনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১১০০ হাজার ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। তারই মধ্যে রাজ্যে B.7 অর্থাৎ ওমিক্রনের উপরূপের সন্ধান পাওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসায় নতুন করে আতঙ্ক বাড়ছে বলেও মনে করছেন অনেকে।

বিভিন্ন দেশে কোভিড কেসের আকস্মিক বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জনসাধারণকে সতর্ক করেছে। আইএমএ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দ্রুত কোভিড সংক্রান্ত বিধি মেনে চলার প্রয়োজন রয়েছে। IMA বলেছে যে রিপোর্ট মিলছে তা অনুযায়ী, আমেরিকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্স এবং ব্রাজিলের মতো বড় দেশগুলি থেকে গত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ৫.৩৭ লক্ষ নতুন কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। ভারত গত ২৪ ঘন্টায় ১৪৫টি নতুন কেস নথিভুক্ত করেছে, যার মধ্যে চারটি কেস চিনের নতুন রূপ - BF.7 এর।

ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বলেছে যে সরকারি ও বেসরকারি সেক্টরে শক্তিশালী পরিকাঠামো, চিকিত্সক ও চিকিৎসা কর্মী, সরকারের সক্রিয় নেতৃত্ব, পর্যাপ্ত ওষুধ এবং ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা খতিয়ে দেখতে হবে। যাতে ভারত অতীতের মতো যে কোনও ঘটনা পরিচালনা করতে সম্পূর্ণরূপে সক্ষম হয়।