সংক্ষিপ্ত

আরজি কর কাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে কার্যত গোটা দেশ।

আরজি কর কাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে কার্যত গোটা দেশ। আর সেই আন্দোলনে প্রতিদিনই বাড়ছে সাধারণ মানুষের সমর্থন। একাদশীতে অরন্ধন থেকে শুরু করে একাধিক জায়গা থেকে সাধারণ মানুষের যোগদান, সবক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের স্বতস্ফূর্ত যোগদান।

রবিবার, সেই অনশন মঞ্চে দেখা গেল একাধিক অন্যরকম ছবি। যেমন, রবিবার দণ্ডি কেটে ধর্মতলার অনশন মঞ্চে পৌঁছে গেলেন বরানগরের এক বাসিন্দা। আবার জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে থাকার বার্তা দিতে কাঁথি থেকে হাজির এক বৃদ্ধ। ওদিকে আবার ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পুজোর ছুটি কাটাতে কলকাতায় আসা এক সিনিয়র চিকিৎসকও দূরে থাকতে পারলেন না কলকাতার চিকিৎসকদের এই আন্দোলন থেকে।

এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির বাসিন্দা রথীন্দ্রনাথ পতিও উপস্থিত ছিলেন ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে। তিনি কর্মজীবনে ছিলেন একজন শিক্ষক। এখন তাঁর বয়স ৮০ পেরিয়ে গেছে। কিন্তু বয়সকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে, সটান হাজির ধর্মতলার অনশন মঞ্চে। তাঁর গলায় আক্ষেপের সুর। বললেন, “মমতাকে জেতাতে অনেক পরিশ্রম করেছিলাম। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে পাপ করেছি। সেই পাপস্খলন করতে এসেছি আজ। এখনও কেন রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে না এই রাজ্যে? মুখ্যমন্ত্রী কী করে এখনও বসে আছেন?”

আরও পড়ুনঃ

আরজি কর থেকে বহিষ্কৃত হওয়া ৫১ জন চিকিৎসক এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ, মিলল মামলা দায়েরের অনুমতি

এই ছবি পরিষ্কার একটি কথা বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, আন্দোলন কার্যত ঐতিহাসিক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। যেখানে সরকার বিরোধী মনোভাব স্পষ্ট। অন্তত বর্ষীয়ান এই চিকিৎসকের বক্তব্য সেইদিকেই ইঙ্গিত করছে। এছাড়াও এই অনশন মঞ্চে আসা একাধিক মানুষের গলায় একই সুর শোনা যাচ্ছে।

সবমিলিয়ে তরুণী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং জুনিয়র ডাক্তারদের দাবির পাশে দাঁড়ানো মানুষের সংখ্যা দিন দিন যেন বেড়েই চলেছে। আর পুজোর পর সেই আন্দোলনের ঝাঁঝ ক্রমশই বাড়ছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।