কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাড়ে ৩ মাসের মাথায় শর্তসাপেক্ষে জামিন দিল আলিপুর সেশনস কোর্ট। নির্যাতিতাকে সাহায্য না করা এবং তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। 

ফের চাঞ্চল্যকর খবর। সাড়ে ৩ মাসের মাথায় ছাড়া পেল অভিযুক্ত। কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে জামিন মঞ্জুর হল। জামিন পেলেন অভিযুক্ত সিকিউরিটি গার্ড। শর্তসাপেক্ষে কসবা ল কলেজের নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়কে জামিন দিল আলিপুর সেশনস কোর্টের ভ্যাকেশন বেঞ্চ।

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায় খড়দার বাসিন্দা। কিন্তু কাজের জন্য কসবায় ভাড়া থাকত। কেন সব জেনেও মুখ বন্ধ রেখেছিল সে? কেন পরদিন তিনি কলেজ কর্তৃপক্ষকে কিছু জানাননি? ভয় নাকি অন্য কোনও চাপ? গণধর্ষণের সময় কী করেছিলেন তিনি? জিজ্ঞাসাবাদের সময় এই সকল নানান প্রশ্নের সঠির উত্তর না মেলায় তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। আবার নির্যাতিতার অভিযোগ ছিল, নিরাপত্তারক্ষীর কাছে সাহায্য চেয়েও পাননি তিনি। আর সেখানেই প্রশ্ন ওঠে, কেন নিরাপত্তারক্ষী সাহায্য করেনি?

নির্যাতিতা তাঁর বয়ানে বলেছিলেন, তাঁকে সাহায্য করার পরিবর্তে গার্ড রুম থেকে চলে গিয়েছিল নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরাধ ঘটার সময় কলেজেই ছিল নিরাপত্তারক্ষী। তবে, ঠিক কী কারণে এমন কাজ করেছিল নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়? এই সকল প্রশ্নের সদুত্তর না পাওয়ায় পুলিশ তাঁকে আটক করেছিল। এবার গ্রেফতারের সাড়ে ৩ মাসের মাথায় ছাড়া পেল অভিযুক্ত।

প্রসঙ্গত, ২৫ জুন কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে গণধর্ষণের শিকার হন প্রথম বর্ষের ছাত্রী। অভিযুক্তের নাম হিসেবে উঠে আসে কলেজেরই প্রাক্তন ছাত্র মনোজিৎ মিশ্রের নাম। সেই সময় কলেজে অস্থায়ী কর্মী ছিল মনোজিৎ। তাকে মদত দিয়েছিল কলেজেরই তৃতীয় সেমিস্টারের পড়ুয়া প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও জাহিদ আহমেদ।

নির্যাতিতা অভিযোগের ভিত্তিতে ২৬ জুন তিন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা জানা যায়। পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করলে তার কথায় অসঙ্গতি দেখার পর পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে। ২৮ জুন গ্রেফতার করা হয় তাকে। তবে সাড়ে ৩ মাসের মাথায় ছাড়া পেল অভিযুক্ত।