সংক্ষিপ্ত
উত্তাল বাঁশদ্রোণী। ছাত্র মৃত্যুর পর ৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। তবু এখনও দেখা নেই এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলররা।
উত্তাল বাঁশদ্রোণী। ছাত্র মৃত্যুর পর ৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। তবু এখনও দেখা নেই এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলররা।
বুধবার, সকাল ৭.৩০ মিনিট নাগাদ স্কুল ছাত্রকে পিষে দিয়ে চলে গেল একটি জেসিবি। কীভাবে সম্ভব? নবম শ্রেণির একজন পড়ুয়া টিউশন পড়তে যাওয়ার পথে এই ঘটনা ঘটেছে।
জানা যাচ্ছে, ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দীনেশ নগর অটো স্ট্যান্ডের এই ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেই ছাত্রকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ফলে, এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা।
জানা যাচ্ছে, পুলিশকে ঘিরে ধরে চলছে তুমুল বিক্ষোভ। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বাঁশদ্রোণী থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী ইতিমধ্যেই মোতায়ন করা হয়েছে। আর এখন পাটুলি থানার ওসিকে ঘিরে চলছে বিক্ষোভ।
কিন্তু তাঁকে বের করে নিয়ে যাওয়ার সময়, জনতার সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় জনতার। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “ঘটনার সঙ্গে যে চালক বা কন্ট্রাকটার যুক্ত রয়েছেন, তাঁর বিরূদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অন্যদিকে, ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদার বলেন, “বড় কাজ করতে একটু সময় লাগে। তাই রাস্তা সারাই করতে আমাদের সময় লাগছে। এখন আমি মৃত ছাত্রের বাবা-মায়ের সঙ্গে আছি। আমাদের দলের ছেলেরা ঘটনাস্থলে গেছে। আমি এদিকের কাজ মিটিয়ে ওখানে যাব।”
জানা গেছে, মৃত কিশোরের নাম সৌম্য শীল। গঙ্গাপুরী শিক্ষা সদন স্কুলের নবম শ্রেণির পড়ুয়া ছিল ওই কিশোর। তাঁর বাবা পেশায় একজন রিক্সা চালক। তাদের বাঁশদ্রোণীতে বাড়ি। সূত্রের খবর, বহুদিন ধরে বেহাল অবস্থা এই রাস্তার। স্থানীয়রা বহুবার বলার পরও ঠিক করা হয়নি। জায়গায় জায়গায় একাধিক গর্ত। সেই রাস্তাই ঠিক করতে আসে দুটি জেসিবি। একটি জেসিবি ব্যাক করার সময় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা ছাত্রকে পিষে দেয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।