- Home
- West Bengal
- Kolkata
- লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পর এবার নয়া প্রকল্প মমতার! মহিলারা পাবেন মোটা টাকা! নবান্নের ঘোষণা
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পর এবার নয়া প্রকল্প মমতার! মহিলারা পাবেন মোটা টাকা! নবান্নের ঘোষণা
ক্ষমতায় আসার পর থেকে একাধিক জনপ্রিয় প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্প রয়েছে। এরই মধ্যে ফের একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের ঘোষণা নবান্নের।

রাজ্যবাসীর সুবিধার কথা ভেবে একাধিক প্রকল্প চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এর মধ্যে বেশ কিছু প্রকল্পে আবার ভাতা প্রদান করে রাজ্য। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় সাধারন মহিলারা প্রতি মাসে ১০০০ টাকা এবং তপশিলি বা উপজাতির মহিলারা ১২০০ টাকা পেয়ে থাকেন।
মমতা সরকারের প্রকল্পের এই সুবিধাগুলি পেতে পাড়ায় পাড়ায় ক্যাম্প চালু করেন। এই ফলে যারা সরকারি অফিসগুলিতে পৌঁছে নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজ করাতে পারেন না বা সময় হয় না। সেই সব কাজ যাতে এলাকায় থেকেই করিয়ে জনসাধারণকে পরিষেবা দেওয়া যায়, সেই কারণেই বছরের নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রতিটি এলাকায় দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প বসানো হয় জনসাধারণের জন্য।
এবার রাজ্যের মহিলাদের জন্য নয়া সুবিধার কথা ঘোষণা করতে চলেছে নবান্ন। ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে আরও একবার মহিলা ভোটব্যাঙ্কের জমি শক্ত করতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। এবার মহিলারা কী কী সুবিধা পাবেন, দেখে নিন।
সম্প্রতি রাজ্য সরকার ও স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স সাব-কমিটির যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় স্বনির্ভর গোষ্ঠী বিষয়ক এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনাসভা। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসনের আধিকারিক এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠী বিষয়ক বিভাগের কর্তাব্যক্তিরা। আলোচনায় উঠে আসে, গত এক বছরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঋণ সংযোগ কর্মসূচি উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেলেও কয়েকটি জেলায় গতি আনতে হবে।
নবান্নের (Nabanna) বৈঠকে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়?
সূত্রের খবর, এদিন নবান্নের (Nabanna) বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে আগামী দিনে ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সমন্বয় তৈরি করে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় থাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দ্রুত ঋণ পাইয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি, ঋণপ্রাপ্তির প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও ডিজিটাল করতে বিশেষ পরিকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ভোটের আগে মমতার নজর মহিলা ভোটব্যাঙ্কে
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পদক্ষেপ তাঁর গ্রামীণ মহিলা ভোটব্যাঙ্কের প্রতি বিশেষ মনোযোগের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তাঁদের দাবি, গত ১৪ বছরে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামের মহিলাদের আত্মনির্ভর করে তুলেছেন, আর এই নতুন ঋণ উদ্যোগ সেই ধারাকেই আরও শক্তিশালী করছে।
পরিসংখ্যান বলছে, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ফলে রাজ্যের বিশাল অংশের মহিলারা তৃণমূলের পক্ষে ভোট দান করেছেন। অনেক গ্রামীণ মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত থাকায়, এই ঋণ সুবিধা তাঁদের আর্থিকভাবে আরও স্বচ্ছল করবে যা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের জন্য বড় সহায়ক হতে পারে।
তবে নবান্ন (Nabanna) প্রশাসনের বক্তব্য আলাদা। তাঁদের দাবি, এই প্রকল্প কোনও রাজনৈতিক পদক্ষেপ নয়, বরং দীর্ঘদিন ধরে চলা একটি নিয়মিত উন্নয়নমূলক কর্মসূচির অংশ। সরকার সারা বছর ব্যাঙ্কের সহযোগিতায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ঋণ প্রদান করে গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখে। এবার সেই প্রক্রিয়াকেই আরও দ্রুত ও কার্যকর করার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে, যাতে রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছয়।

