সংক্ষিপ্ত

আপনারা রাস্তাঘাটে থাকায় আমিও রাতে ঘুমাতে পারিনি। আপনাদের রক্ষার জন্য আমাকেও জেগে থাকতে হয়েছে। আপনারা যদি কাজে ফিরুন, আমি কথা দিচ্ছি আপনাদের সব দাবি দেখা হবে। এটা আমার শেষ চেষ্টা।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্যভবনে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। সল্টলেকে স্বাস্থ্য বিভাগের বাইরে প্রতিবাদ মঞ্চে পৌঁছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী "উই ওয়ান্ট জাস্টিস" স্লোগানের মধ্যে বলেছিলেন, "আমি আপনাদের (ডাক্তারদের) ব্যথা বুঝতে পারি, তাই আমি আপনাদের সঙ্গে আছি।" আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে চিন্তিত নই। ছাত্রজীবনে অনেক আন্দোলন আমিও করেছি। আমরা আপনাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।"

সিবিআই- মুখ্যমন্ত্রী মমতার কাছে দোষীদের মৃত্যুদণ্ড দাবি করছি

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, "আপনারা রাস্তাঘাটে থাকায় আমিও রাতে ঘুমাতে পারিনি। আপনাদের রক্ষার জন্য আমাকেও জেগে থাকতে হয়েছে। আপনারা যদি কাজে ফিরুন, আমি কথা দিচ্ছি আপনাদের সব দাবি দেখা হবে। এটা আমার শেষ চেষ্টা। আমি সহানুভূতির সঙ্গে চিন্তা করব এবং দোষীদের শাস্তি হবে। আমি সিবিআইয়ের কাছেও দোষীর মৃত্যুদণ্ড দাবি করছি।"

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বাইরে পঞ্চম দিনের মতো বিক্ষোভ। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এমন সময়ে প্রতিবাদের জায়গায় পৌঁছেছেন যখন সল্টলেকে স্বাস্থ্য দফতরের অফিসের বাইরে জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভ পঞ্চম দিনেও (মুষলধারে বৃষ্টি সত্ত্বেও) অব্যাহত ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিবাদী চিকিৎসকদের একজন অনিকেত মাহাতো সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, "যতক্ষণ পর্যন্ত ন্যায়বিচার না পাবো এবং আমাদের অন্যান্য দাবি পূরণ না হয়, বৃষ্টি, গরম, ভূমিকম্পও আমাদের প্রতিবাদ থামাতে পারবে না।" আমরা এখানে একটি মহৎ উদ্দেশ্যে এসেছি এবং কোন শক্তি আমাদের তা অর্জনে বাধা দিতে পারবে না।"

জুনিয়র ডাক্তাররা বললেন- আমরা একগুঁয়ে এবং অনড়...

সৌম্য চক্রবর্তী নামে আরেক চিকিৎসক এ সময় বলেন, "কেউ যদি মনে করে যে আমরা অনড় এবং জেদি তাহলে এটা একেবারেই ভুল, তাদের মনে কিছু একটা নিশ্চয়ই চলছে। আমরা ডাক্তার, রাজনীতিবিদ নই। এখানে কোনও রাজনীতি নেই। শুধু স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পরিষ্কার করার দাবি।