সংক্ষিপ্ত

জুনিয়র ডাক্তারদের সাথে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন বেশিরভাগ দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার সহ স্বাস্থ্য কর্তাদের পদ পরিবর্তনের ঘোষণা।

জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে বিনীত গোয়েলকে সরিয়ে দেওযা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মমত। সরিয়ে দেওয়া হবে ডিসি নর্থকেও। সরিয়ে দেওয়া হবে দুই স্বাস্থ্য কর্তাকেও। আলোচনায় দুই পক্ষ খুশি বলেও জানিয়েছেন মমতা। তিনি আরও বলেন জুনিয়র ডাক্তাররা ছোট বলেও তাদের দাবি বেশি করেই মেনে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জুনিয়র ডাক্তারদের দ্রুত কাজে ফেরার কথা বলেছেন। তবে জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁকে বলেছেন স্বাস্থ্য ভবনের ধর্নামঞ্চে গিয়ে আলোচনার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কার্যবিবরণীতে সই করেছেন জুনিয়র ডাক্তার ও মুখ্যসচিব।

মমতা এদিন বলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের চারটি আবেদনের মধ্যে তিনটেই মেনে নেওয়া হয়েছে। দ্রুত কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার আবেদন জানান হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলেও জুনিয়র ডাক্তারদের আশ্বস্ত করেন। রাজ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলছে তাই জুনিয়র ডাক্তারদের দ্রুত কাজে ফিরতে আবেদন জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন জুনিয়র ডাক্তাররাও কাজে ফিরতে চাইছে। তবে তারা আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত নেবে। তবে যে বিষয় বিচারাধীন সেই বিষয় তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না স্পষ্ট করে সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন। মঙ্গলবার বিকেল ৪টের মধ্যেই নতুন পুলিশ কমিশনার পাবে কলকাতা।

সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক হয়। বৈঠকের বিবরণী লিখতে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। জুনিয়র ডাক্তাররা নিজেদের সঙ্গে ২জন স্টেনোগ্রাফার নিয়ে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যে ৬টা ৪০ মিনিটে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক চলেছে টানা ২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যখন বৈঠক হয় তখন কালীঘাটে রাস্তায় নেমে মানুষ আরজি করের বিচার চেয়ে স্লোগান দিয়েছিল। তারা জুনিয়র ডাক্তাদেরও মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়ার আগে শুভেচ্ছা জানান। জুনিয়র ডাক্তাররা কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ও স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের পদত্যাগ-সহ ৫ দফা দাবিতে অনড় থেকেই বৈঠকে যায়।

জুনিয়র ডাক্তারদের পাঁচ দফা দাবি হল-১। নির্যাতিতার ন্যায় বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।

২। তথ্য প্রমাণ লোপাটের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া।

৩। বিনীত গোয়েলকে কলকাতার নগরপালের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া। ডিসি নর্থ ও ডিসি সেন্ট্রালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা।

৪। রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা।

৫। সরকারি পরিষেবার ক্ষেত্রে হুমকি সংস্কৃতি বন্ধ করা।