সংক্ষিপ্ত
নওশাদ সিদ্দিকীর কারণে আগে থেকেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। কিন্তু সকাল থেকেই আইএসএফ কর্মীদের জমায়েত শুরু হয়।
শনিবারের মত রবিবারও আইএসএফ কর্মীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল কলকাতা । শুধু বদলে গেল স্থান। শবিবার ভাঙড়ে তৃণমূল-আইএসএফ কর্মীদের সংঘর্ষের প্রতিবাদে ধর্মতলায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল আইএসএফ কর্মীরা। পুলিশ বাধা দিলে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় কলকাতার প্রাণকেন্দ্র। সেই ঘটনায় আইএসএফ-র একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী-সহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। রবিবার তাদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। কিন্তু শওশাদ সিদ্দিকীর মুক্তির দাবিতে দলীয় কর্মী সমর্থক ও অনুগামীদের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে ব্যাঙ্কশাল আদালত চত্ত্বর। অন্যদিকে ভাঙড় থেকে যাওয়ার পথে আরও ৪৩ জন আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল , তাদের এদিন পেশ করা হয় বারুইপুর আদালতে।
নওশাদ সিদ্দিকীর কারণে আগে থেকেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। কিন্তু সকাল থেকেই আইএসএফ কর্মীদের জমায়েত শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দলীয় কর্মী সমর্থকদের ভিড় বাড়তে থাকে। নওশাদ-সহ দলীয় কর্মীদের মুক্তির দাবিতে সরব হয়। অবিলম্বে নওশাদের মুক্তির দাবিও জানান হয়। অন্যদিকে আদালতে এসে আবারও হুঁশিয়ারি দেন নওশাদ। তিনি বলেন, 'মানুষের জন্য লড়াই করব। অন্যায় যেখানে হবে সেখানে প্রতিবাদ করব। হাজারবার জেলে যাব। ' এদিনও ব্যাঙ্কশাল আদালত এলাকার অনেক মানুষই আশান্তির আঁচ করেছিলেন। যদিও পুলিশ তাদের আশ্বস্ত করেছিল কোনও সমস্যা হবে না। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আর সেই মত কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
অন্যদিকে এদিন ভাঙড়ের গাজিপুর থেকে উদ্ধার হয়েছে ব্যাগভর্তি তাজা বোমা ও বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্র। যার জেরে গ্রেফতার হয়েছে তিন জন আইএসএফ কর্মী। সবমিলিয়ে গত দুই দিন ৬৫ জন আইএসএফ কর্মী ও নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে বেআইনি জমায়েত, অস্ত্র নিয়ে অশান্তি, পরিকল্পিত অশান্ত, সরকারি কাজে বাধা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা-সহ একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টারও মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিস্তারিত আসছে...