পুলিশ সূত্রের খবর, কসবায় সোমনাথ রায় ও তাঁর পরিবারকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিন যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর নাম চঞ্চল মুখোপাধ্যায়।

কসবার হালতুতে একই পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। হালতুর একই পরিবারের তিন সদস্য গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিল। কিন্তু কেন আত্মহত্যা করেছিল- সেই তদন্তেই নেমে পুলিশের হাতে এসেছে একাধিক প্রশ্ন। অটোচালক সোমনাথ রায়ের মামা ও মামিকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার গ্রেফতার করা হয়েছে এক দালালকে। পুলিশ সূত্রের খবর এই দালাল টাকার বিনিময় ব্যাঙ্ক থেকে সোমনাথদের নগদ ১০ লক্ষ টাকা ঋণ পাইয়ে দিয়েছিল।

পুলিশ সূত্রের খবর, কসবায় সোমনাথ রায় ও তাঁর পরিবারকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিন যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর নাম চঞ্চল মুখোপাধ্যায়। অভিযোগ সোমনাথকে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক থেকে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ পাইয়ে দিয়েছিল চঞ্চল। বিনিময় টাকা নিয়েছিল। তাই তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমনাথ তাঁর স্ত্রী ও ছেলের মৃত্যুতে চঞ্চলের ভূমিকা কী তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মঙ্গলবার সকালে কসবার হালতুতে সোমনাথ, তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা রায় এবং আড়াই বছরের পুত্রের দেহ উদ্ধার হয়। ছেলের দেহ নিজের সঙ্গে বেঁধে গলায় দড়ি দিয়েছিলেন সোমনাথ। তাঁর স্ত্রীও গলায় দড়ি দেন। ঘরের দেওয়ালে লেখা ছিল সুইসাইড নোট। সেখানে পরিবারের সদস্যদের নামও উল্লেখ ছিল। সোমনাথদের মৃতদেহ উদ্ধারের পরই তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা রায়ের পরিবারের থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল পারিবারিক অশান্তি আর আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া। তারপরই তদন্ত শুরু করে কসবা থানার পুলিশ। আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল সোমনাথের মামা ও মামিকে। যদিও প্রতিবেশিরা পাওনাদারদের কথাও তুলছেন। সবকিছু খতিয়ে দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন সবকিছু খতিয়ে দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।