সুমিত্রার বাবা দাবি করেন, "সোমনাথের বাবা-মা থাকার জন্য যে জমি দিয়ে গিয়েছিলেন, তা নিয়ে মামা-মামির সঙ্গে বিবাদ ছিল। বৃদ্ধের দাবি, "জমির ভাগ চেয়ে মামা মামি তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, তার মেয়ে ও জামাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক মধুর ছিল"
কসবার হালতুতে সোমনাথ রায়, তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা রায় এবং তাঁদের আড়াই বছরের পুত্রের মৃত্যুর ঘটনায় সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় পুলিশ সোমনাথের মামা প্রদীপকুমার ঘোষাল এবং মামি নীলিমা ঘোষালকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে ঘটনার বিবরণ জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে কসবার হালতুতে সোমনাথ, তাঁর স্ত্রী এবং পুত্রের দেহ উদ্ধার হয়। জানা যায়, সোমনাথ নিজের দেহের সঙ্গে পুত্রের দেহ বেঁধে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তাঁর স্ত্রীও গলায় দড়ি দেন। মৃত গৃহবধূ সুমিত্রার পরিবারের দাবি, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের কারণে এই দম্পতি আত্মহত্যা করেছেন। এমনকি সোমনাথের ঘরের দেওয়ালে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়, যেখানে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের কথা উল্লেখ রয়েছে।
সুমিত্রার বাবা বিশ্বনাথ ভৌমিক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। সুমিত্রার বাবা দাবি করেন, "সোমনাথের বাবা-মা থাকার জন্য যে জমি দিয়ে গিয়েছিলেন, তা নিয়ে মামা-মামির সঙ্গে বিবাদ ছিল। ওদের থাকার জন্য জমি দিয়ে গিয়েছিলেন সোমনাথের বাবা-মা"। বৃদ্ধ দাবি করেন, "জমির ভাগ চেয়ে মামা মামি তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, তার মেয়ে ও জামাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক মধুর ছিল"।
সুমিত্রার দিদি সুপর্ণা ভৌমিক সোমনাথের মামা-মামির বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের করেছেন। সুমিত্রার দিদি দাবি করেন, "জমির জন্য তাঁর বোন ও বোনের ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে"।
স্থানীয় কিছু সূত্রের দাবি, সোমনাথের বাড়িতে পাওনাদারদের আনাগোনাও ছিল। এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, ''আমি শুনেছি পাওনাদারেরা আসত। ওঁর মামাই বলেছিলেন এই কথা''।
ঘরের দেওয়ালে সুইসাইড নোটে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের কথা উল্লেখ রয়েছে বলেই জানা যায় পুলিশ সূত্রে। এর পরেই সোমনাথের মামা-মামিকে আটক করেলেও এবার পুলিশ সোমনাথের মামা-মামিকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে এবং সুইসাইড নোটের বিষয়বস্তু খতিয়ে দেখছে। এমনকি পুলিশ আর্থিক অনটনের বিষয়টিও তদন্ত করে দেখছে। এই ঘটনার নেপথ্যের কারণ খুঁজতে পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখছে।


