ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ অরূপ বিশ্বাসের। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে লিওনেল মেসি-র অনুষ্ঠান ঘিরে যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, সেই নিয়ে গোড়া থেকেই তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। সেই আবহেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে। 

ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ অরূপ বিশ্বাসের। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে লিওনেল মেসি-র অনুষ্ঠান ঘিরে যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, সেই নিয়ে গোড়া থেকেই তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। সেই আবহেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন অরূপ। ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন তিনি।

তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, চিঠি লিখে মমতাকে ইস্তফা দিতে ইচ্ছুক বলে জানান অরূপ। দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী অরূপের সেই ইচ্ছেয় অনুমোদনও দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন কুণাল। অরূপের লেখা বলে যে চিঠি তুলে ধরেছেন কুণাল, তাতে লেখা হয়েছে, 'শ্রদ্ধেয়া দিদি, আমার প্রণাম নেবেন। গত ১৩ ডিসেম্বর মেসির কলকাতা সফরে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে যে পরিস্থিতি হয়েছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে আপনি ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তাই নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে আমি ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে আপনার কাছে অব্যাহতি চাইছি। আশাকরি আপনি আমার এই অনুরোধ রাখবেন'।

অরূপের ইস্তফা পত্র গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। যদিও অন্য এক সূত্রের মতে, অরূপের ইস্তফা গ্রহণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে গোটা বিষয় নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে।

রাজ্যের যুব ও ক্রীড়া দফতরের মন্ত্রী অরূপ। মেসিকে ঘিরে যুবভারতীতে যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, তাতে রাজ্য ক্রীড়া দফতরের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে পড়ে। ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে মাঠে উপস্থিত ছিলেন খোদ অরূপ। মেসির কলকাতা সফরের দায়িত্বে তাঁর দফতরের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। কিন্তু ওই দিন গোটা সময় যুবভারতীতে মেসির সঙ্গে একেবারে সেঁটে থাকতে দেখা যায় অরূপকে। প্রত্যেক ছবিতেই তাঁঁকে দেখা যায়। এমনকি অভিযোগ ওঠে, নিজের পরিবার-পরিজনদেরও মাঠে মেসির পাশে হাজির করান অরূপ। ফলে গোটা অব্যবস্থার জন্য অরূপকে দায়ী করছেন অনেকেই।