Messi in Kolkata: যুবভারতী কাণ্ডে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর পুলিশ। নাগেরবাজার থেকে এই দুজনকে পাকড়াও করা হয়েছে। ধৃতরা হলেন গৌরব বসু এবং শুভ্রপ্রতিম দে।
Messi in Kolkata: শনিবারের যুবভারতীতে মেসিকে দেখতে না পেয়ে তাণ্ডব চালান একদল সমর্থক (messi in kolkata)। তারা কি আদৌ ফুটবলপ্রেমী? যেভাবে তারা সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভাঙচুর চালালেন, লণ্ডভণ্ড করলেন, চেয়ার ছুঁড়লেন এবং জলের বোতল ওড়ালেন, তাতে করে বলতেই হচ্ছে এরা কারা (messi india tour)?
আরও দুজনকে গ্রেফতার
ইতিমধ্যেই যুবভারতী কাণ্ডে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর পুলিশ। নাগেরবাজার থেকে এই দুজনকে পাকড়াও করা হয়েছে। ধৃতরা হলেন গৌরব বসু এবং শুভ্রপ্রতিম দে। পুলিশ সূত্রে খবর, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ভাঙচুরের ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয়েছে এই দু’জনকে। সেই সূত্র ধরেই নাগেরবাজার থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানা যাচ্ছে।
ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার আটটি নির্দিষ্ট ধারায় এফআইআর রুজু দায়ের করেছে পুলিশ। সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়া, ইচ্ছাকৃতভাবে সরকারি কর্মীর উপর আক্রমণ, কর্তব্যরত সরকারি কর্মীকে গুরুতরভাবে জখম করার চেষ্টা, ভাঙচুর এবং গোলমাল পাকানোর মতো অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই ধারাগুলিতে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে, সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ এবং শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগও উঠে এসেছে।
কারণ শনিবার, মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে টিকিট কেটেও মেসিকে দেখতে না পাওয়ার হতাশায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন দর্শকরা। তারপর শুরু করেন ভাঙচুর। চরম উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় যুবভারতীতে।
চূড়ান্ত অব্যাবস্থা ছিল আয়োজকদের তরফ থেকে
সকাল ১১.৫২ মিনিটে যুবভারতী মেসি বেরিয়ে যাওয়ার পরেই, পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এমনকি, স্টেডিয়ামের ফেন্সিং ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়েন বিরাট সংখ্যক মানুষ। মেসিকে দেখতে এসে রাগের চোটে তারা গ্যালারির চেয়ারও ভেঙে ফেলেন। তারপর ছুঁড়তে শুরু করেন। জলের বোতলও ছোঁড়া হয়।
মাঠের ক্ষতি হয়, গোলপোস্টের জাল ছিঁড়ে ফেলা হয়। রীতিমতো লন্ডভন্ড পরিস্থিতি তৈরি হয়। ফুটবলপ্রেমী জনতার অভিযোগ, চূড়ান্ত অব্যাবস্থা ছিল আয়োজকদের তরফ থেকে। তারা মেসিকে দেখতে এসেছিলেন। কিন্তু তৈরি হয়ে গেল অপ্রীতিকর পরিস্থিতি।
শেষপর্যন্ত, যুবভারতীতে নামানো হয় র্যাফ। পুলিশ এদিন লাঠিচার্জও করে। এবার সেই ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল দুজনকে। শনিবারের সেই তাণ্ডবের একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সেই ভিডিওগুলির পাশাপাশি সিসি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখে বিশ্লেষণ শুরু করে পুলিশ।
ঐ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করেই গৌরব বসু এবং শুভ্রপ্রতিম দে-কে চিহ্নিত করে বিধাননগর পুলিশ।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।