সংক্ষিপ্ত

আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছেন তিনি। কিন্তু হটাৎই অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রর (Sreelekha Mitra) পুরনো ভিডিও নিয়ে কাঁটাছেঁড়া শুরু।

আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছেন তিনি। কিন্তু হটাৎই অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রর (Sreelekha Mitra) পুরনো ভিডিও নিয়ে কাঁটাছেঁড়া শুরু।

উল্লেখ্য, আজ থেকে ২ বছর আগে ভাইরাল হয়েছিল অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রর টাকিলা শট খাওয়ার একটি ভিডিও। তারপর সেই ঘটনা নিয়ে বেশ চর্চাও হয়েছিল। আর এবার দুই বছর পর সেই পুরনো ঘটনা নিয়ে ফের শুরু বিতর্ক।

এইমুহূর্তে আর জি কর কাণ্ডের (RG Kar) প্রতিবাদে উত্তপ্ত গোটা দেশ। কলকাতাতেও চলছে তীব্র প্রতিবাদ। সেই প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখাও। এমনকি, প্রশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলতেও পিছপা হচ্ছেন না অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, আর জি কর কাণ্ড নিয়ে সম্প্রতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেন, তার বিরুদ্ধেও সরব হন তিনি।

তাহলে কি সেইজন্যই তাঁর পুরনো ছবি টেনে আনা হল? উঠছে প্রশ্ন। তাই নায়িকার সেই ২ বছর আগের ছবি ঘিরেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। দেখা যাচ্ছে, মদের গ্লাস হাতে রয়েছেন শ্রীলেখা। জন্মদিনের সেই রাতের ছবিতে আবার এডিট করে লেখা হয়েছে, “আর জি কর আন্দোলন থেকে ফিরে মাকু শ্রীলেখার মদ নিয়ে নাচন কোদন। আমরা বিচার চাই।”

আর এই পোস্ট দেখেই বেজায় চটেছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। তিনিও বিষয়টিকে একদমই হালকাভাবে নিচ্ছেন না। সেই মিমটি পোস্ট করে শ্রীলেখা লিখেছেন, “২ বছর আগে আমার জন্মদিনের ছবি। যা এডিট করে হ্যাপি বার্থডে পোস্টটাই মুছে ফেলা হয়েছে। আগামী ৩০ অগাস্ট আবার আমার জন্মদিন আসছে। তখন না হয় এটা করতে ভাই। আর একটা কথা, আমি নিজের পয়সায় দামি ওয়াইন খাই। তোমাদের মতো চুরির টাকায় নয়।” সেইসঙ্গে, তিনি এও জানিয়ে দিয়েছেন যে, আইনজীবীর পরামর্শ নেবেন।

ফেসবুকেও একই কথা লেখেন তিনি। তাঁর কথায়, “বর্তমানে যদি আমার ব্যাপারে কিছু বলার থাকে, তাহলে কোনও দ্বিধা না করে পোস্ট করুন। ২ বছরের পুরনো ছবি যে বা যারা পোস্ট করছ কিছু শাসানি না পেয়ে, সবাইকে মার্ক করে রাখা হচ্ছে ভাই। আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছি।”

অভিনেত্রী দাবি করেছেন, এরাই তো ধর্ষক। এদেরকেই আসলে চিনে রাখা উচিৎ। তাই বলে লড়াই তিনি থামাবেন না এবং প্রতিবাদ জানানোর জন্য সবসময় প্রস্তুত বলেই জানিয়েছেন শ্রীলেখা। তাই এই প্রতিবাদ এবং আন্দোলনকে ভয়ে পেয়েই এইসব মিম বা রিল বানানো হচ্ছে বলে মনে করছেন তিনি।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।