সংক্ষিপ্ত
তৃণমূল রাজ্যসভার সাংসদ এই পদে ছিলেন ২০২২ সাল থেকে। ২০০৪ সালে সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে পথচলা শুরু হয়েছিল 'জাগো বাংলা'-র। প্রথমে সম্পাদক ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
'জাগো বাংলা'-র সম্পাদক পদ ছাড়লেন সুখেন্দুশেখর রায়! কীসের ইঙ্গিত দিচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ? প্রশ্ন উঠছে। একদিকে যখন সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডের মামলা চলছে, তখন সুখেন্দু শেখরের এই পদক্ষেপ বেশ বড়সড় ফাটল ধরাতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, তৃণমূল রাজ্যসভার সাংসদ এই পদে ছিলেন ২০২২ সাল থেকে। ২০০৪ সালে সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে পথচলা শুরু হয়েছিল 'জাগো বাংলা'-র। প্রথমে সম্পাদক ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরে এই পত্রিকার সম্পাদক হন দলের তরফে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারপরেই সম্পাদক হন সুখেন্দু শেখর রায়।
প্রথম থেকেই আরজি কর কাণ্ড নিয়ে সরব ছিলেন তৃণমূল সাংসদ। সঠিক বিচারের দাবিতে, তিনি কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়ে সিবিআইকে চিঠিও লিখেছিলেন। যে কারণে দলের অন্দরে তাঁর নামের সঙ্গে জুড়েছে 'বিদ্রোহী' বিশেষণও।
গতকাল, সোমবার মধ্যরাতে এক্স পেজে সুখেন্দু লিখেছেন, "আমার ২টো দাবি ছিল: আরজি কর হাসপাতাল ও কলকাত পুলিশের দুই শীর্ষ প্রধানকে সিবিআই হেফাজতে নিয়ে জেরা করুক। জুনিয়র ডাক্তার এবং লক্ষাধিক মানুষের আন্দোলনের চাপে তা অনেকটাই পূরণ হয়েছে। কলকাতা পুলিশ এখন যথেষ্ট চাপে। সবার মতো আমিও খুশি। সত্যমেব জয়তে।" তারপরেই তিনি ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন।
এই প্রসঙ্গে তিনি মঙ্গলবার জানান, 'আমি মুখপত্রের সম্পাদক পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সোমবার সন্ধ্যাতেই আমি দলের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছি।' যদিও সোমবার সকালে প্রকাশিত দলীয় মুখপত্রে সম্পাদক হিসাবে নাম ছিল তাঁরই। তবে সুখেন্দুশেখরের পদত্যাগ নিয়ে এখন পর্যন্ত তৃণমূলের তরফ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র হল 'জাগো বাংলা '। আর সেই কাগজের সম্পাদকীয় পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তৃণমূল সাংসদ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।