তবে বিতর্কের আগুনে ঘি ফেলে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর টুইট।

আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল রবিবার যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এরপরেই কার্যত রাজনৈতিক মহলে শুরু তৃণমূল-বিজেপি তরজা। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে করা এই বার্তা দিয়ে টুইট বেশ তোলপাড় ফেলে রাজনৈতিক মহলে। প্রাথমিকভাবে বিজেপি চুপ করে থাকলেও প্রথম আসরে নামেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। পরিষ্কার জানিয়ে দেন এই দলবদলে বিজেপির সার্বিক কোনও ক্ষতি হবে না।

তবে বিতর্কের আগুনে ঘি ফেলে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর টুইট। তিনি লেখেন

Scroll to load tweet…

শুভেন্দু টুইটারে লেখেন, ‘দলত্যাগ বিরোধী আইনের ভয়েই কি তৃণমূলের পতাকা হাতে দিলেন না? মুকুল রায়কে বিধানসভার ভিতরেও দাবি করা হয়েছে তিনি বিজেপির। সুমন কাঞ্জিলালের ক্ষেত্রেও হয়ত সেরকমই হবে। চ্যালেঞ্জ করছি, হিম্মত থাকলে সুমনকে বিধানসভায় বলতে বলুন তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বিধানসভার অধ্যক্ষ গোটা বষয়টি জানুন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়ে আলিপুরদুয়ারের মানুষকে কেন ধোঁকা দিলেন সুমন কাঞ্জিলাল, তার জবাবদিহি করুন তিনি। এই ধরণের নোংরা রাজনীতিতে বিজেপির কিছু এসে যায় না।’

Scroll to load tweet…

তবে ছেড়ে কথা বলেনি তৃণমূল কংগ্রেসও। শুভেন্দু অধিকারীর টুইটের পালটা দেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি উল্লেখ করেন দিব্যেন্দু অধিকারী ও শিশির অধিকারীর কথা। কুণাল বলেন, “শুভেন্দু দলত্যাগবিরোধী এত তত্ত্ব বলার আগে তোমাকে একটা সবিনয় অনুরোধ। এইভাবে সাধারণ মানুষের জন্য টুইট না করে, প্রথমে তুমি বাড়ি যাও। বাড়ি গিয়ে দরজা বন্ধ করে নিজের বাবা আর ভাইকে অ্যান্টি ডিফেকশন সংক্রান্ত নীতি বোঝাও।”

উল্লেখ্য, শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী ও ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী এখনও তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ। কিন্তু দু’জনের সঙ্গে তৃণমূলের আর কোনও সম্পর্ক নেই। দিব্যেন্দু যদিও প্রকাশ্যে তৃণমূল ছাড়ার ঘোষণা করেননি। তাঁকে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের মঞ্চেও দেখা যায়নি। কিন্তু ২০২১ সালের ১ এপ্রিল এগরায় বিজেপির প্রচার সভায় অমিত শাহের মঞ্চে হাজির হতে দেখা গিয়েছিল কাঁথির তৃণমূল সাংসদকে। এর পর লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে শিশিরের সাংসদপদ খারিজের আবেদন জানিয়েছেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।