Maternity Leave: কর্মজীবী মায়ের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। যমজ সন্তানের দেখভালের জন্য অনুমতি ছাড়াই ছুটি নেওয়ায় বেতন বন্ধ করে দিলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মা। তাঁর পক্ষেই রায় দিল হাইকোর্ট।

Calcutta High Court on maternity leave: যমজ সন্তানের দেখভালের জন্য ছুটি নেওয়ায় এক অধ্যাপিকার বেতন বন্ধ করে দিয়েছিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। পাঠানো হয়েছিল শোকজ নোটিস। তবে এবার এই অধ্যাপিকার পক্ষেই রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ক্যালকাটা গার্লস কলেজের ঘটনা। কলেজের অর্থনীতির অধ্যাপিকা হিসেবে ২০১৮ সালের মার্চে যোগ দিয়েছিলেন ওই শিক্ষিকা। পরে ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর তাঁর যমজ কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করে। মাতৃত্বকালীন ছুটি চলছিল ২০২২ সালের ১০ মে পর্যন্ত। অধ্যাপিকার স্বামী বিদেশে কর্মরত। ফলে সন্তানদের দেখভালের সম্পূর্ণ দায়িত্ব তাঁর উপর। এই অবস্থায় তিনি কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অতিরিক্ত ছুটির আবেদন করেন তিনবার। কিন্তু, প্রতিবারই আবেদন খারিজ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতির চাপে পরে অধ্যাপকা ১৮৯ দিনের ছুটি নিয়ে নেন। যদিও সেটি অনুমোদিত ছিল না। পরে কলেজে কাজে ফিরলে দেখা যায়, তাঁর বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, কলেজের পরিচালন সমিতি তাঁকে শোকজ নোটিশ পাঠায় এবং নির্দেশ দেয়, পূর্ববর্তী ছুটির সময়ে যে বেতন পেয়েছেন তাও ফেরত দিতে হবে। বাধ্য হয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অধ্যাপিকা। সেখানে তিনি স্বস্তি পেলেন। এবার হয়তো আর কোনও সমস্যা থাকবে না।

কী রায় হাইকোর্টের?

মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানান, আইন মায়েদের সন্তান পালনের জন্য ছুটির অধিকার দিয়েছে। তিনি সন্তানপালনে এক বছরের বেশি ছুটি নিতে পারেন। এটি তাঁর আইনসিদ্ধ অধিকার। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, কলেজ কর্তৃপক্ষকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে ওই অধ্যাপিকার সমস্ত প্রাপ্য বেতন পরিশোধ করতে হবে। পুরো বিষয়টি শুধু ছুটি নয়, এটি একজন মায়ের প্রতি প্রতিষ্ঠান ও ব্যবস্থার মানবিক ও সামাজিক দায়িত্ব হওয়া উচিত।

রায়ের বিরোধিতা করবে কলেজ কর্তৃপক্ষ?

ক্যালকাটা গার্লস কলেজ কর্তৃপক্ষ কলকাতা হাইকোর্টের রায় মেনে অধ্যাপিকার বেতন মিটিয়ে দেবে না রায়ের বিরোধিতা করে পাল্টা আবেদন করবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।