'পেনশন একজন কর্মচারীর অধিকার', রাজ্য সরকারকে কড়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
pension: পেনশন নিয়ে এবার রাজ্য সরকারকে রীতিমত ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। জানিয়ে দিল পেনশন একটন কর্মচারীর অধিকার। এটি সরকারের দয়ার দান নয়। দ্রুত সমস্যা সমাধানে নির্দেশ দিয়েছে ।

পেনশন নিয়ে কড়া বার্তা
পেনশন নিয়ে এবার রাজ্য সরকারকে রীতিমত ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। জানিয়ে দিল পেনশন একটন কর্মচারীর অধিকার। এটি সরকারের দয়ার দান নয়। ইচ্ছে অনুযায়ী তা আটকে রাখা যায় না।
হাইকোর্টে মামলা
গারুলিয়া পুরসভার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী চার বছর ধরে পেনশন পাচ্ছেন নাষ দ্বারস্থ হয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের। মামলা ওঠে বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের বেঞ্চে। মঙ্গলবার তিনি নির্দেশ দেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সব আধিকারিকদের পেনশন সংক্রান্ত সব তাড করে দিতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে পুরসভা পেনশনের টাকা অনুমোদন করবে। ৩০ দিনের মধ্যেই পেনশন না চালু হলে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হবে।
মামলাকারী
১৯৮৭ সালে উত্তর ২৪ পরগনার গারুলিয়া পুরসভার স্যানিটারি ইনস্পেক্টর হিসাবে চাকরিতে যোগদান করেন প্রবীরকুমার ভট্টাচার্য। ৩৩ বছর ৩ মাসের চাকরিজীবন শেষে ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি অবসর নেন। তাঁর অভিযোগ, অবসরের পর থেকে নানা বাহানায় পেনশনের টাকা আটকে রেখেছে পুরসভা। তেমনটাই জানা গিয়েছে হাইকোর্ট সূত্রে।
আইনজীবীর মন্তব্য
মামলাকারীর আইনজীবী শঙ্কর বিশ্বাস জানিয়েছেন, নিয়ম অনুযায়ী এক জন কর্মচারী অবসর নেওয়ার পরে পেনশন, গ্র্যাচুইটি, প্রভিডেন্ট ফান্ড-সহ অবসরকালীন টাকা পাওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে পুরসভা সময় মতো তাঁর মক্কেলের সার্ভিস বুক বানায়নি। ফলে তাঁর পেনশনের কাগজপত্র তৈরি ও অনুমোদনের কাজ চার বছরেরও বেশি সময় ধরে আটকে রয়েছে।
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ
এই মামলায় হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ হল, পেনশন কোনও একজন সরকারি কর্মীর অধিকার। তা সরকারের দান নয় যে ইচ্ছেমত আটকে রাখা যাবে। পেনশনের টাকা দিতে করা মানে একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীর জীবিকার অধিকার ও সম্পত্তির অধিকার লঙ্ঘন করা। হাইকোর্ট আরও বলেছে, এত দিন টাকা না পাওয়া মানে জীবন অসহনীয় করে তোলা।

