সংক্ষিপ্ত

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপ এবং ক্রাইম সিনে ব্যবহৃত চাদরের রঙ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কলকাতা পুলিশ এই বিষয়ে তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করেছে।

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে ভাইরাল হয়েছে একটি অডিও ক্লিপ। সেখানে চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছে নির্যাতিতার পরিবারকে। তারই একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। এই ভাইরাল ক্লিপ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। পাশাপাশি ক্রাইম সিন নিয়েও কয়েক দিন ধরে বিতর্ক তৈরি করা হয়েছে। তাই নিয়েও নিজেদের মতামত জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করেন।

চাদর নিয়ে বিতর্ক

কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, 'যে চাদর দিয়ে কভার করা হয়েছিল, সেটা নীল। আমাদের ফটো, ভিডিওগ্রাফি তিনটেতেই চাদরের রং নীল। ইনকোয়েস্টের সময় চাদর নীল ছিল। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে যখন CBI-এর কাছে চলে যায়, তার মধ্য়েও কিন্তু সেম কালার আছে। অন্য় কোনও কালারের কোনও এভিডেন্স নেই। অন্য় কোনও কালার, আমাদের রেকর্ডে নেই। আমাদের সিজার লিস্টে যেটা, সেটা নীল। সবুজ বা কিছু নয়। যেটা লাল সেটা আলাদা সিজার। আগে পাওয়া গেছে। সবুজের কোনও অস্তিত্ব নেই। যেটা লাল বলছেন, ওটা চাপা দেওয়ার নয়।' তিনি আরও বলেন, নীল চাদরের কথাই বলা হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া বলা হয়েছে সাদা চাদর। কোথাও বলা হয়েছে সবুজ চারদ। কিন্তু সেই সময় কথা উড়়িয়ে ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন চাদের রঙ নীল। অন্য কোনও চাদর তাদের রেকর্ডে নেই।

অডিও ক্লিপ বিতর্ক

কলকাতা পুলিশের তরফে আগেও বারে বারে বলা হয়েছে, পুলিশ কখনও ফোন করে আত্মহত্যার কথা বলেনি। এদিনের ভাইরাল হওয়া অডিও-ও আমাদের সেই বক্তব্যকেই প্রমাণ করেছে।ভাইরাল অডিওকে সামনে রেখে পুলিশ যেভাবে নিজেদের বক্তব্যকে ফের স্পষ্ট করতে চেয়েছে, তাতে আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রী খুনের ঘটনায় আগামী দিনে আরজি কর কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধে তথ্য চাপা দেওয়ার অভিযোগ আরও জোরাল আকার নিতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

কারণ ঘটনার পর থেকেই নির্যাতিতার পরিবার অভিযোগ করে আসছিল- কোথাও কিছু একটা সমস্যা রয়েছে। তাদের কাছ থেকে কিছু আড়াল করা হচ্ছে। অন্যদিকে , আর জি কর মেডিক্যালে দুর্নীতির তদন্তে মর্গে সিবিআই! মর্গ থেকে স্টোর, ৩টি রুমে ভাগ হয়ে রুমে সিবিআই অভিযান। প্রাক্তন ডেপুটি সুপারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে সিবিআই। ধর্ষণ-খুনের তদন্তেও আর জি কর মেডিক্যালে সিবিআই টিম।