সংক্ষিপ্ত

অমিত শাহের সঙ্গে রাজ্যপালের এই বৈঠকের পর ফের রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বক্তব্যের পরে এই বৈঠকটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। দিল্লি থেকে কি কোনও বিশেষ নির্দেশ আসতে পারে রাজ্যপালের জন্য!

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ যখন বাড়ছে, এরই মধ্যে দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল গত ১০ দিনের মধ্যে এই নিয়ে দুবার দিল্লির দ্বারস্থ হলেন। তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে দেখা করেন। অমিত শাহের সঙ্গে রাজ্যপালের এই বৈঠকের পর ফের রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। ধর্ষণের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বক্তব্যের পরে এই বৈঠকটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। দিল্লি থেকে কি কোনও বিশেষ নির্দেশ আসতে পারে রাজ্যপালের জন্য! নয়া কোনও রাজনৈতিক ভবিষ্যত তাহলে কি অপেক্ষা করছে বাংলার জন্য! প্রশ্ন উঠছে। যদিও এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারও এই বিষয়ে কোনও অবস্থান স্পষ্ট করেনি।

গভর্নর অমিত শাহকে বাংলার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন

সূত্রের খবর, শুক্রবার সকাল ১১.৩০ নাগাদ অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছন রাজ্যপাল বোস। এই বৈঠকে তিনি কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় চলা পরিস্থিতির কথা জানান। এছাড়াও, এই মামলার পরে রাজ্যের জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে একটি প্রতিবেদনও দেওয়া হয়েছে।

১০ দিন আগে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়

এর আগে রাজ্যপাল ১০ দিন আগেও দিল্লি গিয়েছিলেন। এরপর তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখরের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তিনি আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে একটি প্রতিবেদনও জমা দেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ করছেন রাজ্যপাল

অমিত শাহের সঙ্গে রাজ্যপালের এই বৈঠক এমন এক সময়ে হয়েছিল যখন রাজ্যের পরিবেশে ক্রমশ জনরোষ ছড়াচ্ছে।রাজ্যপাল নিজেও এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন বেশ কয়েকবার। তিনি আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর মমতা সরকারকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশকে অপরাধী করার অভিযোগও ছিল। রাজ্যপাল অভিযোগ করেছিলেন যে বাংলায় গণতন্ত্র পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে এবং বলেছিলেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ থেকে পদত্যাগ করা উচিত। রাষ্ট্রপতি শাসন জারির বিষয়ে রাজ্যপাল বলেছিলেন যে যা করা হবে তা কেবল সংবিধানের পরিধির মধ্যেই করা হবে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।