বাংলাদেশ পুলিশের দাবি, আরিয়ানের সঙ্গে বাংলাদেশের লালমনিরহাটের ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর-বিচন্দাই এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয়। সেই পরিচয় থেকেই ঘনিষ্ঠতা এবং প্রেম।
প্রেমের টানে কাঁটাতারের সীমান্ত পেরিয়ে বহরমপুর থেকে বাংলাদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন ১৯ বছরের আরিয়ান মির্জা। বাড়িতে কাউকে কিছু না জানিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গত ২৬ জুন সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বহরমপুরের বিটি কলেজ রোড লাগোয়া বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান আরিয়ান। তার পর রবিবার রাতে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করার দায়ে বাংলাদেশ পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। সেই থেকে এখনও বাংলাদেশেই রয়েছে আরিয়ান। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ। ছেলেকে ফিরে পেতে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।
বাংলাদেশ পুলিশের দাবি, আরিয়ানের সঙ্গে বাংলাদেশের লালমনিরহাটের ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর-বিচন্দাই এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয়। সেই পরিচয় থেকেই ঘনিষ্ঠতা এবং প্রেম। শেষ পর্যন্ত ওই প্রেমের টানেই সীমান্ত পার! ভারতীয় তরুণ আরিয়ান এবং ওই তরুণী বিয়ের ব্যাপারে মনস্থির করেন। সেই মতো লালমনিরহাটের বাড়িতে হাজির হওয়ার চেষ্টা করেন আরিয়ান। তাঁকে দেখে হইচই পড়ে যায় এলাকায়। খবর পেয়ে ওই তরুণীর বাড়ি থেকে রবিবার রাতে আরিয়ানকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় হাতিবান্ধা থানার পুলিস।
এখন ওই খবর জানতে পেরে ছেলেকে ফিরিয়ে আনার আবেদন জানিয় আরিয়ানের মা আয়েশা মির্জা সোমবার রাতে বহরমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের দ্বারস্থ হন। আয়েশা বিবি বলেন, '২৬ জুন সন্ধ্যায় বহরমপুরের বাড়ি থেকে অসমের গুয়াহাটি যায়। এর পরে সেখান থেকে কাজে মেঘালয় যাচ্ছে বলে পর দিন জানায়।' এর পর এ দিন সকালে বাংলাদেশের হাতিবান্ধা থানার পুলিশের কাছ থেকে আয়েশা মির্জা জানতে পারেন যে, আরিয়ান মেঘালয় থেকে অবৈধ ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ চলে গিয়েছে তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এবং বেআইনিভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার কারণে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।
এর আগে প্রেমের টানে অনেকেই সীমান্ত পার করেছেন। যারমধ্যে সবথেকে বেশি আলোচনা হয়েছে সীমা ভাবিকে নিয়ে। তিনি পাকিস্তান ছেড়ে এই দেশে এসেছিলেন। আর জয়পুরের গৃহবধূ অঞ্জু সংসার, সন্তান, স্বামী ছেড়ে প্রেমের টানে চলে গিয়েছিলেন পাকিস্তানে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল আরিয়ানের নাম।


