West Bengal News: কলকাতায় বিজেপি কর্মী খুনে পেশ চার্জশিট। চার্জশিটে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
কলকাতা: কাঁকুড়গাছিতে BJP কর্মী অভিজিৎ সরকার হত্যাকাণ্ডে সিবিআই-এর সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট। জানা গিয়েছে, এক বিধায়ক ও দুই কাউন্সিলর-সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ। নির্বাচন পরবর্তী হিংসার বলি অভিজিৎ সরকার হত্যা মামলায় বড়সড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই। গত ৩০ জুন দ্বিতীয় চার্জশিট পেশ করা হয়েছে শিয়ালদহের এ সি জে এম আদালতে।
সূত্রের খবর, চার্জশিটে নাম রয়েছে একজন বিধায়ক পরেশ পাল এবং দুইজন কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার , পাপিয়া ঘোষ সহ মোট ১৮ জন নতুন অভিযুক্তের। আদালত ওই দিনই চার্জশিট গ্রহণ করে চার্জশিটের কগনিজেন্স নেয় আদালত। ২০২১ সালের ২ মে নারকেলডাঙা থানায় দায়ের হওয়া FIR (নং ১২৪/২০২১) এর তদন্তের দায়িত্ব ২৫ আগস্ট ২০২১-এ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই নেয়। ওই মামলার মূল বিষয় ছিল পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন-পরবর্তী হিংসা যেখানে অভিজিৎ সরকার খুন হন।
প্রাথমিকভাবে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (হোমিসাইড স্কোয়াড) ৬ আগস্ট ২০২১-এ ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। এরপর সিবিআই ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১-এ প্রথম সম্পূরক চার্জশিটে ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে, যার মধ্যে রাজ্য পুলিশের চার্জশিটভুক্ত অভিযুক্তরাও ছিলেন। তদন্ত জারি থাকায় সিআরপিসি-র ১৭৩(৮) ধারা অনুযায়ী তদন্ত চালিয়ে যায় সিবিআই, যার ফলস্বরূপ দ্বিতীয় সম্পূর্ণ চার্জশিটে আরও ১৮ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই চার্জশিটের ফলে অভিজিৎ সরকার হত্যা মামলার তদন্তে নতুন মোড় নিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
অন্যদিকে,অবাধে চলছে বোমা বাঁধার কাজ। অস্ত্র হাতে রয়েছে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু পুলিশকে জানিয়েও লাভ হচ্ছে না। সংবাদমাধ্যমের কাছে ভিডিয়ো ও ছবি দেখিয়ে বিস্ফোরক দাবি তৃণমূলের সিউড়ি ২ ব্লকের সভাপতি নুরুল ইসলামের। আর তাতেই শুরু রাজনৈতিক তর্জা। নুরুল ইসলামের দাবি, সিউড়ি ২ ব্লকের অন্তর্গত হাড়াইপুর গ্রামে এইভাবেই দুষ্কৃতীরা বুধবার রাতে বোমা বাঁধছে। এলাকাকে অশান্ত করার জন্য এই সব সমাজ বিরোধী কাজ হচ্ছে। কিন্তু পুলিশকে জানিয়েও লাভ হয়নি৷ যদিও এই দুষ্কৃতীদের পিছনে কাদের মদত রয়েছে তা তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।
প্রসঙ্গত, সিউড়ি ২ ব্লক গত কয়েকমাস ধরে তৃণমূল গোষ্ঠী কোন্দল বারবার সামনে এসেছে। মূলত কাজল শেখ ঘনিষ্ঠ ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলামের লোকজনের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল অনুগামীদের বারবার দ্বন্দ্ব বেঁধেছে। এরই মাঝে ২০ জুন ওই ব্লকের দমদমা গ্রামে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়ির পিছনে বোমা ফাটার ঘটনা ঘটে।
এমনকি দিন দুয়েক আগে ওই ব্লকেই শাসক দলের নেত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। তাতেও অভিযোগ তির ওঠে অপর গোষ্ঠীর দিকে। এছাড়া গত এপ্রিল মাসে ওই পুরন্দরপুরে ব্লক কার্যালয়ের সামনে দুই গোষ্ঠীর সংঘাত বাঁধে। এমনকি এক তৃণমূল কর্মীর কাছে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া একাধিক বার বোমাবাজির অভিযোগও ওঠে। এরই মাঝে শাসক দলের এই বিস্ফোরক অভিযোগে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


