আরজি কর-কাণ্ডে ধৃতের 'মদতদাতা' কলকাতা পুলিশের ASI? দীর্ঘ জেরা সিবিআই-এর
- FB
- TW
- Linkdin
অনুপ দত্ত
কলকাতা পুলিশের এএসআই। আরজি কর হাসপাতাল কাণ্ডে একমাত্র ধৃত সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল বলে সিবিআই সূত্রের খবর।
সিজিওতে জেরা
মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই ডেকে পাঠায়। তাঁকে দীর্ঘ সময় জেরাও করা হয়েছে।
সূত্রের খবর
বাইক থেকে পুলিশ ব্যারাক- সর্বত্রই বিশেষ সুবিধে পেত সঞ্জয় রায়। সেই সুবিধে তাঁকে দিত কলকাতা পুলিশের এএসআই অনুর দত্ত, তেমনই বলছে সূত্র।
প্রশ্ন কেন এই সুবিধে
কিন্তু কেন একজন সিভিক ভালান্টিয়ারকে এই বিশেষ সুবিধে দিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। তারই উত্তর খুঁজছে সিবিআই। সেই কারণেই জেরা।
অনুপকে তলবের কারণ
সিবিআই সঞ্জয় রায়ের ঘটনিষ্টদের সঙ্গে কথা বলছে। তাদের জেরা করেছে। আর ঠিক সেই কারণেই তলব করা হয়েছিল অনুপ দত্তকে।
সঞ্জয় রায়
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকে ধর্ষণ-খুনকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় হাসপাতালের কর্মী নয়। সূত্রের খবর পুলিশের বড়কর্তার ঘনিষ্ট হওয়ায় তার অবাধ যাতায়াত ছিল আরজি কর-সহ কলকাতার একাধিক সরকারি হাসপাতালে। সেই ব্যক্তি কী অনুপ দত্ত- ডানার চেষ্টা করছে সিবিআই।
সঞ্জয়ের কুকীর্তি
পুলিশ সূত্রের খবর জেরায় সঞ্জয় রায় বলেছিল,'আপনি চাইলে আমাকে এখুনই ফাঁসি দিয়ে দিন।' রীতিমত স্বাভাবিক রয়েছে সঞ্জয়। পুলিশ সূত্রের খবর সঞ্জয়ের মোবাইলফোনে ছিল প্রচুর পর্ণোগ্রাফি। পর্নোগ্রাফি দেখা তার নেশা ছিল বলেও অনুমান তদন্তকারী পুলিশ কর্মীদের।
সঞ্জয়েকে জেরে
সঞ্জয়েকেও দীর্ঘ সময় জেরা করে সিবিআই। তাঁর মনস্তত্ত্ব জানতে দিল্লি থেকে বিশেষ আধিকারিক আনা হয়েছে। তারাও কথা বলেছে বলে সূত্রের খবর।
প্রাথমিক অনুমান
প্রাথমিক অনুমান আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে নিখুঁত পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে। কিন্তু কোথায় খুন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তা খুঁজছে সিবিআই।
সঞ্জয়ের ঠান্ডা মাথা
তবে নৃশংস খুন আর ধর্ষণের পরেও সঞ্জয় রায় ছিল স্বাভাবিক। শান্তভাবে হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে সাবধানে সব প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা সে করে। জামাকাপড় পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলে। কিন্তু জুতোর রক্তের দাগ ধুতে ভুলে গিয়েছিল সঞ্জয়। এটাই অবাক করছে সিবিআইকে।
সঞ্জয় গিয়েছিল যৌন পল্লিতে
সিবিআই সূত্রের খবর ঘটনার দিন রাতেই সঞ্জয় চেতলার একটি যৌন পল্লিতে গিয়েছিল।
মহিলাকে উত্যক্ত করেছিল
অভিযোগ উঠেছিল হাসপাতালে ঢোকার আগে সঞ্জয় রায় এক মহিলাকে যৌন হেনস্থা করেছিল। রাস্তাতেই এই ঘটনা ঘটে।