সংক্ষিপ্ত

গোপাল দলপতি, তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষদের মুখে ‘কালীঘাটের কাকু’র নাম শোনা গিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় একাধিক অভিযুক্তের মুখে উঠে আসে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়ের নাম।

বুধবার সিবিআই অফিসে ডেকে পাঠানো হয় কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় ভদ্রকে। বেলা প্রায় ১১ টা নাগাদ দুই জন আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে নিজাম প্যালেসে গিয়েছিলেন তিনি। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। কিন্তু নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে কার্যত মুখে কুলুপ সুজয় ভদ্রর। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে বললেন, ‘বলা বারণ। তদন্তের স্বার্থে যা বলার বলেছি। আপনাদের বলব না।’ শেষ পর্যন্ত তাঁকে অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, তাপস ও কুন্তলকে তিনি রাজনৈতিকভাবে চেনেন।

উল্লেখ্য, গোপাল দলপতি, তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষদের মুখে ‘কালীঘাটের কাকু’র নাম শোনা গিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় একাধিক অভিযুক্তের মুখে উঠে আসে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়ের নাম। তাপস মণ্ডল দাবি করেছিলেন, কুন্তল ঘোষের মুখে তিনি কালীঘাটের কাকুর কথা শুনেছিলেন। তবে প্রথম বার গোপাল দলপতি সুজয়ের নাম করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, কুন্তল ঘোষ বার বার কালীঘাটের কাকুর কাছে টাকা পাঠানোর কথা বলেছিলেন।

স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে সিবিআই গোয়েন্দারা কী কী বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন, তা নিয়ে জল্পনা ছড়াতে শুরু করেছে। তবে নিজে থেকে সেভাবে কিছু বলতে চাইলেন না সুজয় ভদ্র। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এদিন বেশ বিরক্তই দেখাল তাঁকে। বললেন, যা জানার তাদের থেকে (তদন্তকারী সংস্থার থেকে) জেনে নিন। এরপর আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও প্রশ্ন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তাঁকে করছেন কি না, সেই বিষয়ে প্রশ্ন করতেই খানিক মেজাজ হারালেন তিনি।

সুজয় ভদ্রর দাবি, সিবিআই আপাতত তাঁকে ডাকেনি। কোনও নথিও চাওয়া হয়নি তাঁর কাছে। সুজয় ভদ্রকে ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে কি না, আবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি না… সেই বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছিল তাঁর কাছে। তবে সে বিষয়ে মুখ খোলেননি তিনি। সিবিআই সূত্রে খবর, আজকের মতো তাঁর বয়ান রেকর্ড প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এখন দেখার পরবর্তী সময়ে তাঁকে আবার তলব করা হয় কি না।

এর আগে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যতবার মুখোমুখি হয়েছেন সুজয় ভদ্র, তাঁকে বেশ খোশ মেজাজেই দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এদিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে বেশ বিরক্তই দেখাল তাঁকে। নিয়োগ দুর্নীতির টাকা তাঁর কাছে গিয়েছে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে সুজয় বলেন, ‘‘টাকা নিয়েছি কি না তদন্তকারীরা আমায় জিজ্ঞাসা করেছেন। নিলে ওঁদের বলতাম।” সংবাদমাধ্যমের তরফে তাঁকে এ-ও জিজ্ঞাসা করা হয় যে, কয়লা কেলেঙ্কারিতে তিনি যুক্ত কি না। প্রশ্ন শুনেই বিরক্ত হন সুজয়।