সংক্ষিপ্ত
ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে মনোজ পন্থ ও নন্দিনী চক্রবর্তী। তাঁরা দুজনেই অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন। সূত্রের খবর তাঁরা অনশনকারীদের স্বাস্থ্যের খোঁজ খবরও নেনে।
জুনিয়র ডাক্তারদের হুঁশিয়ারির পর আবারও কিছুটা নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। শনিবার ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে গেলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তাঁর সঙ্গে গেছেন স্বরাষ্ট্র সতিব নন্দিনী চক্রবর্তী। কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ও রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে। সূত্রের খবর ধর্মতলার অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আমলারা।
ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে মনোজ পন্থ ও নন্দিনী চক্রবর্তী। তাঁরা দুজনেই অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন। সূত্রের খবর তাঁরা অনশনকারীদের স্বাস্থ্যের খোঁজ খবরও নেনে। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের দশ দফা দাবি নিয়েও কথা বলেন তাঁরা। অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলার সময় মুখ্যসচিব একাধিকবার নিজের মোবাইল ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলেন। যদিও তিনি কার সঙ্গে কথা বলছেন তা জানান যায়নি। যদিও এর আগেও ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। আলোচনা করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে। কিন্তু সেই বৈঠক নিষ্ফলা হয়েছিল।
শুক্রবার রাতেই জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়াতে মঙ্গলবার থেকে সর্বাত্মক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। ১৪ দিনের অনশনের পরেও সরকার কোনও পদক্ষেপ করেনি। এই অভিযোগ তুলে আরজি কর আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে দিল জুনিয়র ডাক্তাররা। সিনিয়রদের সঙ্গে বৈঠকের পরই জুনিয়র ডাক্তাররা সরকার আর মাত্র তিন দিনের সময়সীমা বেঁধে দিল। তিন দিনের মধ্যে তাঁদের দাবি মেনে না নিলে তাঁরা মঙ্গলবার থেকে সর্বাত্মক ধর্মঘটের পথেই হাঁটবে। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি ধর্মঘট থাকবে রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিও। তেমনই জানিয়েছে জুনিয়র ডাক্তাররা। যদিও এখনও পর্যন্ত ১০ দফা দাবি নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের কোনও আলোচনা হয়নি। দেবাশিস হালদার বলেন, ' সোমবারের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দাবি না মানেন তাহলে মঙ্গলবার থেকে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সর্বাত্মক ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হব।' ১০ দফা দাবি নিয়ে ৫ অক্টোবর থেকে অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু সরকার এখনও পর্যন্ত তাঁদের ডাকে কোনও রকম সাড়া দেয়নি। তারপরই এদিন আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে অন্যপথে হাঁটার পরিকল্পন করেছেন আন্দোলনকারীরা। দেবাশিস জনিয়েছেন, 'সোমবার পর্যন্ত আমরা একটা সময়সীমা দিচ্ছি। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে আমাদের সব কটি দাবি মানার জন্য আলোচনায় বসতে হবে এবং সব কয়েকটি দাবি মেনে নিতে হবে। যদি তা নয় তবে আগামী মঙ্গলবার সমস্ত সিনিয়র এবং জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সর্বাধিক ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হব।'
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।