সংক্ষিপ্ত
গত কয়েকদিন ধরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করার সুবাদে রাজ্যজুড়ে পরিচিত হয়ে উঠেছেন কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। তাঁকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা চলছে।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করার সুবাদে এখন চর্চায় কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। তাঁকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা চলছে। একইসঙ্গে এই পুলিশ আধিকারিককে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাঁর সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগও উঠেছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের দাবি, ডিসি সেন্ট্রালের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা এই হুমকি দিয়েছে, এখনও তাদের খোঁজ পায়নি পুলিশ। তবে তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট নিয়ে কঠোর কলকাতা পুলিশ
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আন্দোলন শুরু হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বহু মানুষ এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। অনেকেই কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। আসল অপরাধীদের আড়াল করা, প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। ১৪ অগাস্ট রাতে আর জি কর হাসপাতালে বহিরাগতদের হামলা, ভাঙচুরের সময় পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলেও অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে যাঁরা রাজ্য সরকার ও পুলিশের সমালোচনা করছেন, তাঁদের থানায় ডেকে পাঠানো হচ্ছে। অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে।
পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ
সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। কিন্তু কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। ফের একই অভিযোগ উঠল।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
'আর জি কর: বিচার চাই,' সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন
আন্দোলনের জেরে সরতে হয়েছিল সন্দীপ ঘোষকে, কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের নতুন অধ্যক্ষ শুভ্র মিত্র