Dearness Allowance: রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত। ফের সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। পাল্টা পদক্ষেপ সরকারি কর্মীদের সংগঠনের।
Advocate Firdous Samim on DA Case: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা (Dearness Allowance) দেওয়ার বদলে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো নিয়ে রাজ্য সরকারকে (West Bengal Government) তীব্র আক্রমণ করলেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম (Advocate Firdous Samim)। তিনি জানিয়েছেন, 'রাজ্য সরকার পুনর্বিবেচনার আর্জি জানালেও, তা গৃহীত না-ও হতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট ৬ সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া ডিএ দিতে বলেছিল। সেই সময় পেরিয়ে গিয়েছে। এই কারণে অর্থসচিব ও মুখ্যসচিবকে আদালত অবমাননার নোটিস পাঠানো হয়েছে।' শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের নির্ধারিত সময় শেষ হয়েছে। শীর্ষ আদালত বলেছিল, রাজ্য সরকারি কর্মীদের ২৫ শতাংশ ডিএ দিতে হবে। কিন্তু এখনও কর্মীদের বকেয়া ডিএ দেয়নি রাজ্য সরকার।
রাজ্য সরকারকে তোপ শামিমের
কর্মীদের বকেয়া ডিএ দেওয়ার ক্ষেত্রে গড়িমসি করা নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে শামিম বলেছেন, 'বেতনেরই অংশ হল ডিএ। রাজ্য সরকারকে বাজেট তৈরি করার সময় ডিএ-র হিসেব মাথায় রাখতে হয়। রাজ্য সরকার সবরকম খরচ করছে, শুধু ডিএ দেওয়ার কথা উঠলেই বলছে কোমর ভেঙে যাচ্ছে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ না দেওয়ার অর্থ কম বেতন দেওয়া।'
শীর্ষ আদালতে কী যুক্তি রাজ্য সরকারের?
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ দিতে গেলে বিপুল পরিমাণে অর্থ প্রয়োজন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেটে এমন কোনও বরাদ্দ নেই। রাজ্যকে যদি এই বিপুল অর্থ খরচ করতে হয়, তা হলে ঋণ নিতে হবে। এর জন্য আবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এই প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ। তাছাড়া ডিএ বাধ্যতামূলক নয়। ঐচ্ছিক বিষয়, এটি কর্মীদের মৌলিক অধিকার নয়। তাই কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে বাধ্য নয় রাজ্য। কেন্দ্রীয় সরকার যে হারে ডিএ দেয়, রাজ্য সরকার সেই একই হারে ডিএ দিতে বাধ্য নয় বলেও দাবি করেছে রাজ্য সরকার।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


