সংক্ষিপ্ত
মঙ্গলবার সকালেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৫০ সিনিয়র ডাক্তার গণইস্তফা দিয়েছে। তবে তাঁরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, রোগীদের পাশ থেকে সরছেন না।
আরজি কর মেডিক্যাল হাসপাতাল জট অব্য়াহত। একদিকে প্রায় ৫০ জন চিকিৎসক হণইস্তফা দিয়েছেন। অন্যদিকে নবান্ন থেকে তলব করা হয়েছে আরজি করের প্রিন্সিপাল মানসকুমার বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। তবে তাঁর সঙ্গে ডেকে পাঠান হয়েছে ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালকেও। নবান্ন সূত্রের খবর, হাসপাতালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। অন্যদিকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গণইস্তফা নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে কোনও খবর নেই। তাঁদের কাছে এখনও পর্যন্ত কোনও নথি এসে পৌঁছায়নি বলেও জানিয়েছে নবান্ন সূত্র।
মঙ্গলবার সকালেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৫০ সিনিয়র ডাক্তার গণইস্তফা দিয়েছে। তবে তাঁরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, রোগীদের পাশ থেকে সরছেন না। হাসপাতালেই থাকবেন। চিকিৎসা পরিষেবা দেবেন। অন্যদিকে নবান্ন আর স্বাস্থ্যভবন বলেছে চিকিৎসকদের থেকে তারা এখনও পর্যন্ত কোনও নথি পাননি। সিনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে রয়েছেন তাঁরা। তাদের সঙ্গে ধর্মতলার অনশন মঞ্চেও হাজির থেকেছেন সিনিয়র ডাক্তাররা।
অন্যদিকে এদিন রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার জট কাটাতে নবান্নে জরুরি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বৈঠকে ডাকা হয়েছে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। এই বৈঠকে রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবার জট কাটাতে হতে পারে বড় সিদ্ধান্ত।
ধর্মতলায় ধর্না মঞ্চে অবস্থান করেছেন জুনিয়র ডাক্তারার। শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে অনশন শুরু করেছেন তাঁরা। ১০ দফা জাবিতেই তাদের এই আন্দোলন। তাদের মূল দাবি হল হাসপাতালে অর্থাৎ তাদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে মনোজ পন্থ বলেছিলেন আগামী ১০ অক্টোবরের মতে রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলির ৯০ শতাংশ উন্নয়নমূলক কাজ শেষ হয়ে যাবে। তবে তার আগেই তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। মুখ্যসচিবের সেই আশ্বাসের পরের দিনই আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসকরা গণইস্তফা দেন। যাতে পুজোর মধ্যেই পরিস্থিতি জটিল হয়ে যায়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।