সংক্ষিপ্ত
বেশ কয়েকটি পুজো কমিটি ইতিমধ্যেই সরকারি অনুদান নেবে না বলে জানিয়েছে। এবার যদি এই তালিকা আরও বাড়তে থাকে তাহলে সরকারের জন্য তা অস্বস্তিকর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত জুলাই মাসে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম থেকে চলতি বছরের দুর্গাপুজোর অনুদান নিয়ে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জানিয়েছিলেন অনুদান বাড়ানোর কথা। কিন্তু তার মাঝেই ঘটে যায় আরজি কর হাসপাতালে ভয়ঙ্কর কাণ্ড।
আরজি করের ঘটনায় প্রায় একমাস ব্যাপী আন্দোলন এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষের তাতে যোগদান সরকারের চাপ অনেকটাই বাড়িয়েছে। বেশ কয়েকটি পুজো কমিটি ইতিমধ্যেই সরকারি অনুদান নেবে না বলে জানিয়েছে। এবার যদি এই তালিকা আরও বাড়তে থাকে তাহলে সরকারের জন্য তা অস্বস্তিকর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এরই মাঝে কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। দুর্গাপুজোর অনুদানের জন্য টাকা বরাদ্দ হয়ে গেলেও এখনই সেই টাকা ছাড়তে চাইছে না রাজ্য। অন্তত আগামী ৫ সেপ্টেম্বর অবধি অনুদানের (Durga Puja Donation) টাকা না ছাড়ার বিষয়ে প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহল থেকে নির্দেশ এসেছে বলে খবর। শুধু তাই নয়, ৫ সেপ্টেম্বরের পরেও কবে টাকা ছাড়া হবে সেটা এখনও নিশ্চিত নয়।
সূত্রের দাবি, দুর্গাপুজোর অনুদান বিতরণের দায়িত্ব মূলত পুলিশের ওপর থাকে। ইতিমধ্যেই পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে এই নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতে স্বাভাবিকভাবেই নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। কেন এই সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য (Government of West Bengal)? অনেকের মনে দেখা দিয়েছে এই প্রশ্ন।
সরকারি আদেশনামা অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গে ৪৫,৩৩৬টি ক্লাব এবং পুজো কমিটি রয়েছে। এর মধ্যে রাজ্য পুলিশের অধীনে রয়েছে ৪২,৩৩৬টি ক্লাব এবং পুজো কমিটি। সেই কারণে কোষাগার থেকে ৩৫৯ কোটি ৮৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা তোলার অধিকার প্রদান করা হয়েছে রাজ্য পুলিশকে। একইরকমভাবে কলকাতা পুলিশকে ৩০০০ পুজোর জন্য ২৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে নবান্নর (Government of West Bengal) তরফ থেকে। সূত্রের খবর, অনুদান বিতরণের জন্য ‘ধীরে চলো’ নীতি অনুসরণ করতে চাইছে রাজ্য।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।