সংক্ষিপ্ত
সায়নী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে জানা গিয়েছে, সে সম্পর্কেও নাকি কোনও উল্লেখ নথিতে নেই বলে জানা গিয়েছে।
নিজে যাননি। পাঠিয়েছেন নথি। সেই নথিতে আবার নেই একাধিক তথ্য। ফলে তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেত্রী ও টলিউড অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের ওপর বেশ ক্ষুব্ধ এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের আধিকারিকরা। তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে, সায়নী ঘোষের পাঠানো নথি অসম্পূর্ণ। নিজের নামে থাকা ফ্ল্যাটের নথি জমা দিলেও, মায়ের নামে কেনা ফ্ল্যাটের কোনও নথি জমা দেননি তিনি। সায়নী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে জানা গিয়েছে, সে সম্পর্কেও নাকি কোনও উল্লেখ নথিতে নেই বলে জানা গিয়েছে।
সায়নী ঘোষের কাছ থেকে ইডি জানতে চায় যুব তৃণমূলের সায়নীর সঙ্গে কুন্তলের কী যোগ? তাঁর সম্পত্তির উৎসই বা কী? ইডি সূত্রের খবর নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের বেশি কিছু পরিমাণ টাকা গিয়েছিল সায়নীর ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টে। সূত্র ছিল কুন্তল। অন্যদিকে ইডি সূত্রের খবর সায়নীর একটি ফ্ল্যাট সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য আগে থেকেই চেয়েছিল ইডি। সেগুলি নিয়েই তাঁকে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল।ফ্ল্যাটের ইএমআই থেকে সমস্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে সায়নীর কাছ থেকে। কিন্তু সেই প্রশ্নের উত্তরে সায়নী যা তথ্য দিয়েছেন, তাতে সন্তুষ্ট একেবারেই নয় ইডি।
উল্লেখ্য, গল্ফগ্রিন এলাকায় সায়নীদের দু’টি ফ্ল্যাট রয়েছে। একটি তাঁর মায়ের নামে এবং অন্যটি নিজের নামে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল, এর মধ্যে একটি ফ্ল্যাটের দাম প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা। ফ্ল্যাটটি কেনার জন্য সায়নী ২০ লক্ষ টাকা নগদ দিয়েছিলেন। বাকি ৬০ লক্ষ টাকার জন্য একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছিল। ওই ফ্ল্যাট সংক্রান্ত নথিই বুধবার ইডি চেয়ে পাঠিয়েছিল। এ ছাড়া, সায়নী যে গাড়িটি ব্যবহার করেন, তা-ও ছিল ইডির আতশকাচের নীচে। যদিও সায়নী দাবি করেছিলেন, গাড়িটি তাঁরই।
সায়নীর আয়ের সঙ্গে ওই সম্পত্তি ‘সঙ্গতিপূর্ণ’ কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁর আয়ের উৎস কী, কী ভাবে তিনি ঋণের টাকা মেটান, তা-ও খতিয়ে দেখছে ইডি। ইডি সূত্রের খবর, নথিপত্র সংক্রান্ত স্পষ্ট ব্যাখ্যা চাইতে সায়নীকে আবার ডেকে পাঠানো হতে পারে। তবে কবে ডাকা হবে, সে সম্পর্কে এখনই কিছু জানা যায়নি।
ED-সূত্রে দাবি, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে সায়নী রোজগার করেছিলেন ৪৯ লক্ষ ২ হাজার ৫৬৮ টাকা ৩২ পয়সা। এক অর্থবর্ষে এত টাকা রোজগার করা মানেই বোঝা যায় সায়নী ঘোষের সম্পত্তির পরিমাণ কত হতে পারে। এরই সঙ্গে রয়েছে মোটা টাকায় কেনা ফ্ল্যাট। ৩০ জানুয়ারি, দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, আমি শুনেছি এক অভিনেত্রী তিনটি ফ্ল্যাট ভেঙে একটা বড় ফ্ল্যাট পেয়েছেন। জানতে চাই কে তিনি? এই অভিনেত্রীকে দেখতে চাই।