West Bengal State Election Commission: রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে প্রায়ই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা যান। এবার সেখানে প্রবেশ করতে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) নিয়ম মানতে হবে।
KNOW
Election Commission: রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে এবার থেকে প্রবেশ করতে গেলে আপনাকে মানতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) নিয়ম-কানুন। তবেই গিয়ে আপনি এই দফতরে প্রবেশ করতে পারবেন। সারা দেশে যেসব গুরুত্বপূর্ণ দফতর এবং মন্ত্রক রয়েছে এবং যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে সেখানে এই একই নিয়ম বলবৎ রয়েছে আর সেই নিয়মকেই কার্যত মান্যতা দিয়ে এবার থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়মকেই কাজে লাগাতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়াল। অর্থাৎ এতদিন পর্যন্ত যে নিয়ম বলবৎ ছিল তা আর থাকছে না। কারা এই অফিসের কর্মী, কারা এই দফতরে আসেন নিয়ম করে, কাদের জন্য অগ্রাধিকার থাকবে এই সব কিছুই এবার ঠিক করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এমনকী, সংবাদমাধ্যমের গতিবিধিতেও রাশ টানতে চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশন।
সবার জন্যই নতুন নিয়ম
সকলের জন্যই একই নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে প্রবেশের জন্য। একদিকে যেমন তৈরি হতে চলেছে নতুন পাস, অন্যদিকে নির্দিষ্ট সময়ের আগে কেউই এই দফতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে এই দফতরে মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে সেখানে এই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে মূলত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এবং এই দফতরের সকলের জন্য। পাশাপাশি বাড়ি থেকে বেরনো এবং বাড়িতে ফের প্রবেশ সবসময়ই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের নিরাপত্তার জন্য। এমনকী, সিইও যদি নির্বাচন কমিশনের কাজে রাজ্যের কোনও জায়গায় সফর করেন সেই সময়েও তাঁর সঙ্গে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই প্রতিনিধি দল।
কেন নতুন নিয়ম?
সম্প্রতি সিইও দপ্তরে বিএলও-দের আন্দোলনের জন্য ব্যাপক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল আর এর পরিপ্রেক্ষিতেই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (Chief Election Commissioner of India) জ্ঞানেশ কুমার (Gyanesh Kumar) কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) নগরপালকে চিঠি দিয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। আর এরপরেই নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মোতায়েন করার জন্য। সাম্প্রতিক অতীত থেকে শুরু করে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার প্রয়োজন হয়নি। এই প্রথম রাজ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ও তাঁর দফতরের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার এই সিদ্ধান্ত এখন সব মহলেই আলোচনার এক বড় বিষয়। যদিও মনোজ কুমার আগারওয়াল জানিয়েছেন, গতিবিধির নিয়ন্ত্রণ হলেও এই দফতরে যাঁরা আসবেন আগের মতোই তাঁদের কোনও অসুবিধা হবে না কাজের ক্ষেত্রে। এখন দেখার আদপে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্তে নির্বাচন কমিশন আসন্ন ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে সক্ষম হয়।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


