সংক্ষিপ্ত
এ যেন অনেকটা মরার ওপর খাঁড়ার ঘা! আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন তাঁরই প্রাক্তন সহকর্মী তথা আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। মঙ্গলবার তিনি অভিযোগ করেন, অনেক পুড়য়ার ক্ষতি করেছেন সন্দীপ। বিষয়টি নিয়ে তিনি একটা সময় লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তবে হাসপাতালের অনিয়মের অভিযোগের তদন্তে যে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করা হয়েছে তা নিয়ে তিনি আশাবাদী। বর্তমানে প্রাক্তন ডেপুটি সুপারের আশা সন্দীপ এবার শাস্তি পাবে।
আরজি করের ডেপুটি সুপার আখতার আলি বলেছেন, পড়ুয়াদের নিয়ে প্রায় ছেলেখেলা করছিলেন সন্দীপ। একাধিক বার তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগও করেছিলেন। কিন্তু কোনও লাভ হচ্ছিল না। একটা সময় তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। মনে করেছিলেন তিনি হেরে যাবেন। কারণ সন্দীপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ও তথ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষভেপ করা হচ্ছিল না। কিন্তু এবার তিনি আশাবাদী। তাঁর কথায় সিট গঠন করা হলে সব ঘটনা সামনে আসবে। হাসপাতালের অনিয়ম সামনে আসলেই সন্দীপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। তিনি আরজি কর হাসাপাতালের বেনিয়ম নিয়ে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করার জন্য রাজ্য সরকার ও স্বরাষ্ট্র দফতরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
সন্দীপ কী কী ক্ষতি করেছেন তারও একটি খতিয়ান দিয়েছেন প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। তিনি বলেন, 'অনেক ছা্ত্রের ক্ষতি করেছেন। পড়ুয়াদের ইচ্ছেকৃতভাবে ফেল করিয়ে দিতেন, ওয়ারেন্ট ইস্যু করাতেন। পাশ করানোর জন্য পড়ুয়াদের থেকে টাকা আদায় করতেন।' এছাড়াও সন্দীপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আখতার বলেন, ডেপুটি সুপার থাকার সময় সেই অনিয়মগুলি তিনি সামনে থেকে দেখেছেন। সেই সময়ই সন্দীপের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। কিন্তু তখন কিছু হয়নি। এখন তদন্ত হচ্ছে। তাতেও তাঁর আশা সন্দীপ এবার শাস্তি পাবে।
২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এপর্যন্ত সন্দীপ ঘোষ আরজি কর হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই সময় যেসব দুর্নীতি হয়েছে তা জানতেই সিট গঠন করা হয়েছে। অন্যদিকে আরজি কর হাসপাতালে ছাত্রী খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় এদিনও সন্দীপকে তলব করেছিল সিবিআই। এদিনও তাঁকে জেরা হচ্ছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।