বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা ওয়েলে নেমে কাগজপত্র ছিঁড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অধ্যক্ষের দিকে কাগজ ছুঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

আগামী ৩০ দিনের জন্য সাসপেন্ড বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, বিশ্বনাথ কারক ও বঙ্কিম ঘোষ। প্রতিবাদ দেখাতে গিয়ে অধ্যক্ষের দিকে কাগজ ছোঁড়ার ‘শাস্তি’ হিসেবে সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের। অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপির চার বিধায়ককে।

পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়ে বলেছেন, ”বিধানসভায় একটু আধটু চিৎকার-চেঁচামেচি হয়। হতেও পারে। কিন্তু আজ যেভাবে স্পিকারের দিকে তেড়ে গিয়ে কাগজ ছুঁড়ে মারা হয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।”

ঠিক কী ঘটেছিল

বিধানসভা অধিবেশনের শুরুতে আজ অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে বিজেপির মহিলা সদস্যদের তরফে বিধানসভায় ওই মর্মে এক মুলতুবি প্রস্তাব আনা হয়। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ওই প্রস্তাব পাঠের অনুমতি দিলেও আলোচনার দাবি খারিজ করে দেন। অভিযোগ, এরপর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা ওয়েলে নেমে কাগজপত্র ছিঁড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অধ্যক্ষের দিকে কাগজ ছুঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিরোধী দলনেতার ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। তাতে বিজেপির প্রতিবাদের স্বর আরও উচ্চগ্রামে ওঠে। বিজেপি বিধায়করা ওয়াকআউট করে বিধানসভার লবিতে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

এরপরে বিরোধী দলনেতা-সহ মোট চার বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে বিধানসভার মর্যাদা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে শাস্তির দাবিতে সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ প্রস্তাব আনেন। বিরোধীশূন্য বিধানসভায় সেটি ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায়। গৃহীত ওই প্রস্তাব অনুযায়ী, অধ্যক্ষ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পাল, বিশ্বনাথ কারক এবং বঙ্কিম ঘোষকে পরবর্তী ৩০ দিন অর্থাৎ চলতি অধিবেশনের মেয়াদ পর্যন্ত সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
YouTube video player

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।