সংক্ষিপ্ত

শিয়ালদহ কোর্টের বিচারকের নির্দেশ, রাষ্ট্রকে সবমিলিয়ে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরণ দিতে হবে নির্যাতিতার পরিবারকে।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে (RG Kar Medical College Hospital) তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হওয়া সঞ্জয় রায়কে (Sanjay Roy convicted) আমৃত্যু কারাদণ্ডের নীর্দেষ দিয়েছে আদালত। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তাকে থাকতে হবে জেলবন্দি হয়ে। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, নির্যাতিতার পরিবারকেও ক্ষতিপুরণ হিসেবে ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে সরকারকে। এমনটাও নির্দেশ দিয়েছেন শিয়ালদহ আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক অনির্বাণ দাস। তবে এবারও নির্যাতিতার পরিবার ক্ষতিপুরণের টাকা নিতে অস্বীকার করেছেন।

শিয়ালদহ কোর্টের (Sealdah court) বিচারকের নির্দেশ, রাষ্ট্রকে সবমিলিয়ে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরণ দিতে হবে নির্যাতিতার পরিবারকে। নির্যাতিতার বাবা অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁরা ক্ষতিপুরণ চান না। তারপরই তাঁদের উদ্দেশ্যে বিচারক বলেন, 'আপনি মনে করবেননা টাকা দিয়ে ক্ষতিপুরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাকে এমন বলা হলে আমিও তাই করতাম।'

ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪. ৬৬ ও ১০৩ (১) - এই তিনটি ধরায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। সিবিআই মৃত্যুদণ্ডের জন্য সওয়াল কলেও শেষপর্যন্ত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেষ দিয়েছে আদালত। জরিমানা করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া ধর্ষণের জন্য ৭ লক্ষ টাকা আর হত্যার জন্য ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারক বলেন, 'রাষ্ট্রের দায়িত্ব নির্যাতিতার পরিবারকে ক্ষতিপুরণ দেওয়া।'

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আগেই বলেছিলেন দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি চান তিনি। নির্যাতিতার পরিবার ও সিবিআইও সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছে। গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার হলে উদ্ধার হয়েছিন তরুণী চিকিৎসকের নিথর দেহ। প্রথমে হাসপাতালের তরফ থেকে আত্মহত্যা বলা হলেও পরবর্তীকালে খুনের মামলাই দায়ের করা হয়েছিল। আরজি কর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সরব হয়েছিল গোটা দেশ। চিকিৎসকরাও আন্দোলনে নেমেছিলেন। প্রথমে আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত কলকাতা পুলিশ করলেও পরবর্তীকালে তা আদালতের নির্দেশেই সিবিআই-এর হাতে যায়।