সংক্ষিপ্ত
দুর্গাপূজা পর্যন্ত ইলিশ বাজারে থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি দামেও সস্তা হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বাজারজুড়ে এখন ঢালাও ইলিশ। মাঝে কিছুদিন মাছের বাজারে খানিকটা মন্দা গেলেও আবারও নতুন করে বাজারে জোগান বেড়েছে ইলিশের। দুর্গাপূজা পর্যন্ত ইলিশ বাজারে থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি দামেও সস্তা হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
শনিবার ছোট ইলিশ বিকোচ্ছে ৫০০-৭০০ টাকা কেজি দরে। বড় ইলিশের কেজি প্রতি দাম ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। শুধু ইলিশে নয় হাত পুড়ছে অন্য মাছের দামেও। রুই মাছ বিকোচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। ছোট কাতলা মাছের দাম ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। তবে সস্তার মাছও রয়েছে। তেলাপিয়া কেজি প্রতি ১৮০ থেকে ২২০ টাকা। লোটে কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১২০ টাকা। পুঁটি বিকোচ্ছে ১০০ টাকা কজি দরে।
একনজরে মাছের দাম
- ছোট ইলিশ - ৫০০-৭০০ টাকা প্রতি কেজি
- বড় ইলিশ - ১০০০-১২০০ টাকা প্রতি কেজি
- রুই - ২২০-২৫০ টাকা কেজি প্রতি
- কাতলা - ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি প্রতি
- তেলাপিয়া - ১৮০-২২০ টাকা কেজি প্রতি
- লোটে - ৮০-১২০ টাকা কেজি প্রতি
- পুঁটি - ১০০ টাকা কেজি প্রতি
প্রসঙ্গত, চলতি মরশুমে অন্যান্যবারের থেকে অনেক্টাই কম ইলিশের দাম। প্রথমদিকে বৃষ্টি কম হলেও জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই বাড়তে থাকে বৃষ্টি। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে ইলিশের আমদানিও। মৎস্যজীবীদের দাবি অন্যান্যবারের তুলনায় প্রায় পাঁচগুণ বেড়েছে ইলিশের জোগান। একই সঙ্গে কমেছে দু'বাংলায় ইলিশের দামও। কলকাতা ছাড়াও ইলিশের দাম কমেছে বহরমপুরের বাজারেও। আবহাওয়ার খামখেয়ালিতে ফের নাগালের বাইরে যাচ্ছে ইলিশের দাম। গত কয়েকদিনে বাজারে ঢালাও ইলিশ দেখা গেলেও গত সপ্তাহের শুরু থেকেই মন্দা ইলিশের আমদানিতে। ফলত খানিকটা বেড়েছে দামও। এর কারণ হিসেবে মূলত দায়ী করা হচ্ছে আবহাওয়াকেই। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের কারণেই একপ্রকার খালি জাল নিয়ে সমুদ্র থেকে ফিরতে হচ্ছে মৎস্যজীবীদের। রবিবারের বাজারেও বেশ কিছুটা দামি ইলিশ। তবে কি ছুটির দিনে বাঙালির পাতে পড়ল না ইলিশ? দেখে নেওয়া যাক রবিবার কতয় দাঁড়াল ইলিশের দাম।