সংক্ষিপ্ত

তদন্তের স্বার্থে সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে দিয়ে হামলার সম্মুখীন হয়ে হয় ইডি আধিকারিকদের। এরপর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন শাহজাহান। এরপর রাজ্য পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

সন্দেশখালির বিস্তীর্ণ অংশে গ্রামীণ এলাকার জমি দখল করে ভেড়ি নির্মাণ, জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে দিয়ে জবরদখল, গ্রামের মহিলাদের উপর নির্যাতন, হুমকি, বলপ্রয়োগ সহ একগুচ্ছ অভিযোগ উঠে আসে। এই ঘটনায় স্থানীয় নেতা উত্তম সর্দার, শিব প্রসাদ হ্যাকারকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে, গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি ছিল, ঘটনায় মূল মাথা হল শেখ শাহজাহান। প্রায় ৫৫ দিন নিখোঁজ থাকার পরমিনাখাঁর বামনপুকুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল শেখ শাহজাহানকে।

সেই তদন্তের স্বার্থে সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে দিয়ে হামলার সম্মুখীন হয়ে হয় ইডি আধিকারিকদের। এরপর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন শাহজাহান। এরপর রাজ্য পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তাঁর সিবিআই হেফাজত নিয়ে দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে আদালতের নির্দেশে তাকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল।

সেই শেখ শাহজাহানের মুখে উঠে এল সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রতিক্রিয়া। এদিন ইডির দফতর থেকে মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে শেখ শাহজাহানকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময়ই সাংবাদিকরা তাঁকে সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের ব্যাপারে তাঁকে প্রশ্ন করে। সেই সময়ই শেখ শাহজাহানকে বলতে শোনা যায়, ‘সিবিআই তদন্ত হলে খুব ভাল হবে।’ তাঁর এই ভোলবদলের ঘটনায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

সন্দেশখালির ঘটনায় মোট পাঁচটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে মোট পাঁচটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলাগুলো একত্রে শুনছেন বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। এই বেঞ্চ গতকাল পুরো ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তবে শেখ শাহজাহানের মন্তব্য সিবিআই তদন্ত হলে 'ভালো হবে।'

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।