সংক্ষিপ্ত

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ন’জনের বক্তব্যে একাধিক অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। এক এক জন এক এক রকম কথা বলছেন বলে দাবি পুলিশের। কে সঠিক কথা বলছেন? সত্যের খোঁজে তাই এ বার ধৃত ন’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে।

গত ৯ অগস্ট রাত পৌনে বারোটা নাগাদ যাদবপুরের মেন হস্টেলের নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় যাদবপুরের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে। নদিয়ার বাসিন্দা ওই ছাত্র তার কিছু দিন আগে থেকেই হস্টেলের এক ছাত্রের ঘরে ‘অতিথি’ হিসাবে থাকতে শুরু করেছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় প্রথমে তিন জন ও পরে বর্তমান ও প্রাক্তন পড়ুয়া মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও ৬ জনকে। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯। টানা জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও কয়েকজন পড়ুয়া ও প্রাক্তনী। ধৃতদের জেরা করে আরও কয়েকজন পড়ুয়া ও প্রাক্তনীর খোঁজ মিলেছে বলে সূত্রের খবর। তবে তদন্তের স্বার্থেই এদের পরিচয় এখনও প্রকাশ করেনি পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে দিনের পর দিন ধরে ব়্যাগিং চলছিল, তা নিয়ে মুখ খুলেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের সুপার। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, বছরের পর বছর ধরে র‍্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেছে যাদবপুরে! হস্টেলে দাপাদাপি চলত প্রাক্তনীদের।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ন’জনের বক্তব্যে একাধিক অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। এক এক জন এক এক রকম কথা বলছেন বলে দাবি পুলিশের। কে সঠিক কথা বলছেন? সত্যের খোঁজে তাই এ বার ধৃত ন’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে। যদিও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানা এলাকার বাসিন্দা অসিত সর্দার, মন্দিরবাজারের সুমন নস্কর এবং পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বাসিন্দা সপ্তক কামিল্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। বাকিরা, জম্মুর বাসিন্দা মহম্মদ আরিফ (তৃতীয় বর্ষ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দা আসিফ আফজল আনসারি (চতুর্থ বর্ষ, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা অঙ্কন সরকার (তৃতীয় বর্ষ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং) এখনও পড়াশোনা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে।

চিঠি এবং ডায়েরি নিয়ে ধৃতদের দাবির কতটা সত্যতা রয়েছে, তা যাচাই করে দেখছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি ৯ অগস্ট রাতে হস্টেলে ঠিক কী ঘটেছিল? সেই প্রশ্নের উত্তর পেতেই এখন তদন্তে দান সাজাচ্ছেন তদন্তকারীরা।