সংক্ষিপ্ত
রাজ্যের পাঁচতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ছাদ থেকে পড়ে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্য। গোটা ঘটনা এখনও তদন্ত সাপেক্ষ।
যাদবপুরকাণ্ডে নতুন মোড়, এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন পড়ুয়াকে আজীবন বহিষ্কারের সুপারিশ করল অভ্যন্তরীণ কমিটি। রাজ্যের পাঁচতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ছাদ থেকে পড়ে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্য। গোটা ঘটনা এখনও তদন্ত সাপেক্ষ। ঘটনার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কোমিটি গঠন করে শুরু হয়েছিল তদন্ত। একাধিক পড়ুয়া, অভিযুক্ত ও হস্টেসের আবাসিকদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অবশেষে ঘটনার ২৬ দিনের মাথায় অবশেষে শাস্তির সুপারিশ করল অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি।
জানা যাচ্ছে চারজন পড়ুয়াকে আজীবন বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এই সিদ্ধান্তকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি, র্যাগিংয়ের ঘটনায় যুক্ত ৬ প্রাক্তনীর বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষকে FIR দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি ২৫ জন প্রাক্তনীকে হস্টেল থেকে বহিষ্কারেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিন অভিযুক্তদের পক্ষের উকিল সওয়াল করেন, পুলিশের অভিযোগ, গত ৯ অগাস্ট হস্টেলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়ছিল পুলিশকে। তবে দায়িত্ব পালনে দবাধা দেওয়ার মামলা করতে কেন ৭২ ঘন্টার বেশি সময় লাগল পুলিশের? এই প্রশ্নের জবাবে কিছুই বলতে পারেননি সরকারি আইনজীবী। অন্যদিকে সরকার পক্ষের আইনজীবীর প্রশ্ন, পুলিশকে শুধু হস্টেলে ঢুকতেই বাধা দেওয়া হয়নি, যে হাসপাতালে ওই আহত ছাত্রের চিকিৎসা চলছিল, সেখানেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি তাদের। পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে সেদিন যদি পুলিশকে বাধা না দেওয়া হয় তা হলে হয়ত বাঁচানোও যেতে পারত ওই ছাত্রকে। এই মন্তব্য ঘিরে ফের প্রশ্ন তোলেন অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী। তাঁর কথায়,'পুলিশ কে আটকানোর সঙ্গে চিকিৎসার কী সম্পর্ক? এতে চিকিৎসায় তো কোনও বাধা হতে পারে না।'
অন্যদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবার বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে আসছে ইসরোর প্রতিনিধি দল। রাজভবন সূত্রে আগামী বৃহস্পতিবারই রাজ্যের অন্যতম পাঁচতারা বিশ্ববিদ্যালয় আসবে ভারতীয় প্রতিনিধি দল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা ঘিরে প্রশ্নের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। চন্দ্রযান-৩ এর সফল ল্যান্ডিংয়ের পর ISRO-র চেয়ারম্যান এস সোমানাথের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ISRO-র সাহায্য নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় সেদিনই। রাজ্যপাল ইসরোর প্রতিনিধি দলকে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখার অনুরোধ করেন।