সংক্ষিপ্ত

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত ছাত্র স্বপ্নদীবের বাবা রমাপ্রসাদ কুণ্ডুর সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যায়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন,'যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ সামনে এসেছে। এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। ওই জায়গায় কয়েকজন কী আচরণ করেছেন? কে কে ছিল? নতুন ছেলেদের কেন আতঙ্কে থাকতে হবে একটা সম্মানজনক প্রতিষ্ঠানে? অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।'

উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত ছাত্র স্বপ্নদীবের বাবা রমাপ্রসাদ কুণ্ডুর সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বপ্নদীপের বাবার অভিযোগ তাঁর ছেলে ব়্যাগিংএর শিকার। পুলিশ সূত্রের খবর তিনি ব়্যাগিংএর কথাও বলেছেন অভিযোগে। কারণ স্বপ্নদীপ তাঁর মাকে ফোন করে বলেছিলেন, তাঁর খুব ভয় করেছে। তবে কি নিয়ে তাঁর ভয় করছে তা অবশ্য জানাননি। সেই কারণে কুণ্ডু পরিবারের মধ্যে ব়্যাগিংএর সম্ভবনা দাঁনা বাঁধছে। সূত্রের খবর মুখ্যমন্ত্রী স্বপ্নদীপের বাবাকে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন। ছেলেকে খুন করা হয়েছে। ছেলে আত্মহত্যা করেনি। স্বপ্নদীপ আত্নহত্যা করেনি। ছেলের মৃত্যুর একদিন পরেই খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তবে নিহত ছাত্রের বাবা নির্দিষ্ট কারও নামে অভিযোগ দায়ের করেননি। তবে স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছ কিন্তু কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি।

নদিয়ার বগুলার বাসিন্দা স্বপ্নদীপ। মাত্র দুই দিন আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল। বুধবার রাতে মেন হোস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে যায়। দ্রুত উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাই তাঁকে কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয় স্বপ্নদীপের। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি রাত ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ হোস্টেলের নিচে ছিলেন। ভারী কিছু পড়ার আওয়াজ শুনতে পান। ছুটে যান ঘটনাস্থলে। তখনই দেখতে পান স্বপ্নদীপ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দ্রুত সেখানে প্রচুর ছাত্র উপস্থিত হয়। তারা সকলে মিলে গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় ছাত্রকে উদ্ধার করে। নিয়ে যায় হাসপাতালে। দ্রুত চিকিৎসাও শুরু হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাঁকে।