সংক্ষিপ্ত

তদন্ত করতে গিয়ে একাধিক নথি ইডির হাতে এসেছে। তা থেকে দেখা গিয়েছে, এফআইআরে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর নাম না থাকলেও এই দুর্নীতির ‘রিং মাস্টার’ তিনিই।

রেশন দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। গ্রেফতারির ১৪ মাস পরে জামিনে মুক্তি পেতে চলেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বালুর জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে ইডির বক্তব্য ছিল, রেশন দুর্নীতির এফআইআরে প্রথমে তাঁর নাম ছিল না। কিন্তু তদন্ত করতে গিয়ে একাধিক নথি ইডির হাতে এসেছে। তা থেকে দেখা গিয়েছে, এফআইআরে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর নাম না থাকলেও এই দুর্নীতির ‘রিং মাস্টার’ তিনিই।

বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশির পর রাতে বালুকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পরেই গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, মন্ত্রীর বাড়ি থেকে রেশন বণ্টন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র মিলেছে।

বেশ কয়েক বার আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। কিন্তু প্রতিবার ‘প্রভাবশালী তত্ত্ব’ তুলে ধরে তাঁর জামিনের বিরোধিতা করেছিল ইডি। তাদের দাবি ছিল, জ্যোতিপ্রিয়কে জামিন দিলে তিনি তদন্তে প্রভাব খাটাতে পারেন। অতঃপর জামিন পাননি প্রাক্তন মন্ত্রী। বুধবার অবশ্য তা ঘটেনি। জানা যাচ্ছে, রেশন দুর্নীতি মামলায় ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে কলকতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছেন এই প্রাক্তন মন্ত্রী। তবে ঠিক কবে তাঁর জেলমুক্তি হতে চলেছে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।

রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ক্ষমতা বোঝাতে বিশেষ সিবিআই আদালতে প্রাক্তন মন্ত্রীকে দুর্নীতির গঙ্গাসাগর বলেও দাবি বলেছিলেন ইডি-র আইনজীবী। তিনি বলেছিলেন, ‘গঙ্গা, ভাগীরথী ও অন‍্য শাখা প্রশাখা যেমন গঙ্গাসাগরে এসে মিশেছে, এই রেশন দুর্নীতির সমস্তটা মিশেছে জ্যোতিপ্রিয়র কাছে। তাঁর কাছে চাল বিক্রি থেকে গম বিক্রি, রেশন দুর্নীতির সব টাকা এসেছে।’

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।