সংক্ষিপ্ত

শেষপর্যন্ত জেল থেকে ছাড়া পেলেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু। 

আর এরপরই সন্ধ্যায় জেল থেকে ছাড়া পেলেন তিনি (Jyotipriya Mallick Bail)। 

আদালত জামিন দেওয়ার পরেই প্রেসিডেন্সি জেলে ভিড় জমাতে শুরু করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অনুগামীরা। এমনকি, পৌঁছে যান বালুর মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিক। এর র বিকেল ৫.৩০ মিনিট নাগাদ জেল থেকে বেরিয়ে আসেন এই প্রাক্তন মন্ত্রী।

তবে বেরোনোর পর অবশ্য জেলের বাইরে বেশিক্ষণ দাঁড়াননি তিনি। জেল থেকে বেরিয়েই সোজা গাড়িতে উঠে চলে যান মেয়ের সঙ্গে। জানা গেছে, তিনি গেছেন সল্টলেকের বাড়িতে। বাড়িতে ঢোকার সময়েও কোনও কথা বলেননি বালু।

সূত্রের খবর, আদালতেরই নির্দেশ রয়েছে, রেশন দুর্নীতি মামলা সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে পারবেন না তিনি।

এর আগে অবশ্য ইডি দাবি করেছিল, জ্যোতিপ্রিয় আসলে দুর্নীতির গঙ্গাসাগর। নদীর শাখা-প্রশাখা যেমন সাগরে গিয়ে মেশে, তেমনই দুর্নীতিকারীদের গন্তব্যস্থল ছিলেন তিনি। অতএব, এই রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বালুর জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে ইডির বক্তব্য ছিল, রেশন দুর্নীতির এফআইআরে প্রথমে তাঁর নাম ছিল না।

কিন্তু তদন্ত করতে গিয়ে একাধিক নথি ইডির হাতে এসে পৌঁছয়। আর তা থেকেই দেখা যায় যে, এফআইআরে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর নাম না থাকলেও এই দুর্নীতির ‘রিং মাস্টার’আসলে তিনিই। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তবে গ্রেফতারির পরে প্রথমে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তৎকালীন মন্ত্রী।

সেইসঙ্গে, হাসপাতালে কিছু দিন থাকতেও হয় তাঁকে। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে জেলে যান তিনি। তবে সেখান থেকে আবারও জেলেই ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকবার আদালতে জামিনের আবেদন করেন প্রাক্তন মন্ত্রী। কিন্তু প্রতিবারi প্রভাবশালী তত্ত্ব তুলে ধরে তাঁর জামিনের বিরোধিতা করতে থাকে ইডি।

কারণ, তাদের দাবি ছিল, জ্যোতিপ্রিয়কে জামিন দিলে তিনি তদন্তে প্রভাব খাটাতে পারেন। অতঃপর জামিন পাননি প্রাক্তন মন্ত্রী। বুধবার অবশ্য আর তা ঘটেনি। উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর আবহে বাড়িতে লাগাতার তল্লাশির পর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

প্রায় ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের পরেই গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। প্রসঙ্গত, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতারের পর বারবার তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছিলেন, বিজেপি ষড়যন্ত্র করেই বনমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে।

তবে ২০২২ সালের ২৩ জুলাই, তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে তাঁকে মন্ত্রিত্ব এবং দলের মহাসচিব পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে, পার্থকে সাসপেন্ডও করা হয়েছিল।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ এখনও জামিন পাননি। কয়েকদিন আগেই তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেছে। কিন্তু জামিন পেয়ে গেলেন জ্যোতিপ্রিয়।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।