সংক্ষিপ্ত

‘কালীঘাটের কাকু’-র কথা প্রথমবার প্রকাশ্যে আনেন তাপস মণ্ডল। এই ‘কালীঘাটের কাকু’ আসলে কে? 

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। যাঁর সম্পর্কে তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি গোপাল দলপতি জানিয়েছেন যে, ‘কালীঘাটের কাকু’ নামের কোনও পরিচিতকে টাকা পাঠাতেন কুন্তল। অন্য আরেক ধৃত তাপস মণ্ডলের দাবি, সেই ‘কালীঘাটের কাকু’ নাকি আসলে বেহালার ম্যান্টনের বাসিন্দা সুজয় ভদ্র। আরেকদিকে সুজয় ভদ্রের দাবি, তিনি শুধুই ‘কাকু’। তিনি মোটেই ‘কালীঘাটের কাকু’ নন। আবার কুন্তল বলছেন, সুজয় ভদ্রকে ‘ব্যক্তিগতভাবে’ চেনেন। তাহলে এই ‘কালীঘাটের কাকু’ আসলে কে?

বৃহস্পতিবার হুগলির যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে যখন নিজাম প্যালেস থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন তাঁকে এই প্রশ্ন করা হলে তাঁর বক্তব্য, ‘কাকু বলতে আমি একজনকেই চিনি। আমার বাবার ভাই।’ স্বভাবতই, ‘কালীঘাটের কাকু’ নিয়ে জট ক্রমশ জটিলতর হচ্ছে। গাড়িতে ওঠার সময় তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ‘সুজয় ভদ্র কে চেনেন?’, তাঁর উত্তর, ‘দু-একবার দেখেছি’। কালীঘাটের কাকুকে টাকা দিল কে? এই প্রশ্নে কুন্তলের মুখে সেই গোপাল দলপতির নাম। তিনি জানান, ‘একমাত্র গোপাল দলপতিই টাকা নিয়েছেন।’

এদিন আরেক অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলকেও আদালতে তোলা হয়। নিজাম থেকে বেরনোর সময় তাঁকে সুজয় ভদ্রকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘কাকুর নাম কুন্তল বলতে পারবে। আমি বলতে পারব না।’ চাকরি প্রার্থীদের থেকে টাকা নিয়ে সেই টাকা কুন্তল ঘোষ কার কাছে পাঠাতেন? এই প্রশ্নের উত্তরে গোপাল দলপতি জানিয়েছিলেন, মাঝে মধ্যে নাকি কারও কাছে ‘কালীঘাটের কাকু’-কে টাকা পাঠানোর কথা বলতেন কুন্তল ঘোষ। ‘হেডকোয়ার্টারে কাকু আছে’, এ কথাও নাকি বলতেন কুন্তল।

‘কালীঘাটের কাকু’-র কথা প্রথমবার প্রকাশ্যে আনেন তাপস মণ্ডল। তিনি জানান, ‘কালীঘাটের কাকু’ আসলে সুজয় ভদ্র। কিন্তু, এই সুজয়ের দাবি যে, তিনি কুন্তলকে চিনতেন বটে, তবে নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে আলোচনা হয়নি তাঁদের মধ্যে।

আরও পড়ুন-
ভারত জুড়ে মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে পড়েছে জঙ্গি-যোগ, খালিস্তানি জঙ্গিদের খোঁজে NIA-র চিরুনি তল্লাশি
কলকাতা ছেড়ে নরওয়েতে গিয়ে অনির্বাণ ভট্টাচার্য হয়ে গেলেন ‘চ্যাটার্জি’, রানি মুখার্জির সাথে পড়লেন ভয়ানক বিপদে
আতঙ্কের নাম ভূমিকম্প, বুধবার দুপুর থেকে পর পর কম্পনে কেঁপে উঠল উত্তর ভারত