- Home
- West Bengal
- Kolkata
- হুমকি সংস্কৃতি বা থ্রেট কালচার কী? এভাবে হাসপাতালে ভয়ের পরিবেশে কাজ করতে হয় ডাক্তার ও পড়ুয়াদের
হুমকি সংস্কৃতি বা থ্রেট কালচার কী? এভাবে হাসপাতালে ভয়ের পরিবেশে কাজ করতে হয় ডাক্তার ও পড়ুয়াদের
জুনিয়র ডাক্তারদের পাঁচ দফা দাবি শেষ দফাটি হল এই হুমকি সংস্কৃতি বা থ্রেট কালচার নিয়ে। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি দ্রুত 'থ্রেট কালচার' বা 'হুমকি সংস্কৃতি'র অবসান ঘটিয়ে রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে ভয়মুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
- FB
- TW
- Linkdin
থ্রেট কালচার' বা 'হুমকি সংস্কৃতি কী
'থ্রেট কালচার' বা 'হুমকি সংস্কৃতি'ঠিক ব়্যাগিং নয়। তার থেকেও মারাত্মক। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে যে দাদাগিরি বা হুমকি দেওয়া হয় ডাক্তারির পড়ুয়াদের সেটাই হল 'থ্রেট কালচার' বা 'হুমকি সংস্কৃতি'।
রাশ কাদের হাতে
হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করা হয়। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণের রাখতে ও রাজ্যের শাসকদলের আনুগত্য পেতে একদল ডাকাবুকো ছাত্র এই 'থ্রেট কালচার' বা 'হুমকি সংস্কৃতি'র রাশ নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছিল।
টাকা দাবি
আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কথা অনুযয়ী পাশ করিয়ে দেওয়া থেকে পছন্দের স্থানে কাজ পাওয়া সব কিছুতই হত টাকার বিনিয়ম। যারা টাকা দিতে রাজি হত না তাদের পরিণতি খুব একটা ভাল হয় না।
ভয় দেখান-মারধর করা
ভয় দেখান, মারধর করা, নাজেহাল করা, অপদস্থ করা- এসবই হল 'থ্রেট কালচার' বা 'হুমকি সংস্কৃতি'র অঙ্গ ।
হুমকির মুখে জুনিয়াররা
রেজিস্ট্রেশন বাতিল থেকে আটকে দেওয়া -এমন হুমকিও দেওয়া হত জুনিয়র ডাক্তাররা। মোটকথা দিনের পর দিন একটি বড় চক্র তৈরি হয়েছিল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে।
রেহাই নেই সিনিয়র ডাক্তারদের
রেহাই পেত না সিনিয়র ডাক্তাররা। সিনিয়র ডাক্তারদের জন্য বরাদ্দ ছিল প্রোমোশন আটকে দেওয়া বদলি করে দেওয়ার হুমকি।
ঘরের নামে হুমকি
চিকিৎসক পড়ুয়াদের ভাল ঘর দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেয়ে টাকা আদায় করা হত বলেও অভিযোগ সামনে এসেছে। ইন্টার্নশিপের সার্টিফিকেট নিয়েও হুমকি দেওয়া হত।
হুমকি সংস্কৃতি শুরু
২০২০-২১ সাল থেকেই 'থ্রেট কালচার' বা 'হুমকি সংস্কৃতি'প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। কয়েক বছর ধরে এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে শুরু করেছে ডাক্তার ও পড়ুয়ারা। বলা যেতে পারে তার ফলস্বরূপ ছিল তিলোত্তমার প্রতিবাদ।
হুমকির ধরন
সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হুমকি সংস্কৃতির পিছনে রয়েছে একটি নির্দিষ্ট লবি। তেমনই দাবি জুনিয়র আর সিনিয়র চিকিৎসকদের। শাসকদলের ঘনিষ্ট এই লবিতে থাকতে পারলে অনেক সুযোগ সুবিধে পাওয়া যায়।
হুমকির মুখে জুনিয়াররা
হুমকির মুখে ছিল সিনিয়র ডাক্তাররা। একটি সূত্র বলছে শুধুমাত্র যে সিনিয়ররাই জুনিয়রদের হুমকি দিত এমনটা নয়। অনেক সময় ইন্টার্নশিপ করা পড়ুয়ারাও হমকি দিত সিনিয়র ডাক্তরাদের।
কারণ
চিকিৎসকদের একাংশ আরও মনে করেন, দীর্ঘ দিন মেডিক্যাল কলেজগুলিতে নির্বাচন না হওয়ার কারণে জাঁকিয়ে বসেছিল থ্রেট কালচার। তাই মে়ডিক্যাল কলেজগুলিতে দ্রুত নির্বাচন করার দাবিও জানিয়েছে জুনিয়র ডাক্তাররা।
দায়িত্বহীন ক্ষমতা ভোগ
'থ্রেট কালচার' বা 'হুমকি সংস্কৃতি'র মাধ্যমে একটি এমন দল তৈরি হয়েছিল যারা দায়িত্বহীন ক্ষমতা ভোগ করছিল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে। জুনিয়র ডাক্তারদের কথায় যা ঘুঘুরবাসা।