৪-৫ সেকেন্ড ধরে দুলল কলকাতা থেকে জেলার মাটি। ভূমিকম্পের অভিঘাতে বেশ ভয় যান মানুষ। প্রাথমিক ভাবে কিছু বোঝা না গেলেও, পরে কম্পনের অনুভূতি টের পাওয়া যায়
কলকাতা থেকে জেলায় ভূমিকম্প। ৪-৫ সেকেন্ড ধরে দুলল কলকাতা থেকে জেলার মাটি। ভূমিকম্পের অভিঘাতে বেশ ভয় যান মানুষ। প্রাথমিক ভাবে কিছু বোঝা না গেলেও, পরে কম্পনের অনুভূতি টের পাওয়া যায়। কলকাতা সঙ্গেই কেঁপে ওঠে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। সকাল ১০ টা বেজে ১০ মিনিট নাগাদ অনুভূত হয় কম্পন।
হঠাৎ করে কম্পন অনুভব করেন শহর কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, মালদা, নদিয়া-সহ একাধিক জেলার বাসিন্দারা। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, এ দিন ভূমিকম্প অনুভূত হয় ঢাকাতেও। কলকাতার বাসিন্দাদের দাবি, প্রায় ৫-৬ সেকেন্ডের বেশি সময় ধরে তাঁরা কম্পন অনুভব করেছেন। সাতসকালে এই কম্পনের জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে। ভুমিকম্পের উৎস বাংলাদেশ বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে কম্পনটি স্বল্পস্থায়ী হলেও বহু জায়গায় তা স্পষ্টভাবে অনুভূত হয়েছে। রাজ্যজুড়ে কোথাও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও পর্যন্ত মেলেনি। তবুও প্রশাসনের তরফে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ভূমিকম্পের উৎসস্থল বাংলাদেশ বলে খবর। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা কেঁপে উঠেছে। কোচবিহারেও টের পাওয়া গেল কম্পনের ঝটকা। দক্ষিণ দিনাজপুরে টের পাওয়া গেছে ভূমিকম্প। মালদা ও নদিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার শহরের কাছে ৫.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষা (ইউএসজিএস) সংস্থা জানিয়েছে, কলকাতা এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি অংশে কম্পন অনুভূত হয়েছে। ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ঢাকা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে নরসিংদীতে এবং ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। এখনও পর্যন্ত, ভূমিকম্পে কোনও হতাহত বা আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।


