Kolkata gangrape: কসবার আইন কলেজে এক ছাত্রীর গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে উত্তাল রাজ্য। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। এরই মধ্যে শাসক দলের প্রভাবশালী নেতা মদন মিত্রর মন্তব্যে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

Kolkata Law College Student gangrape: বুধবার সন্ধে থেকে রাতের মধ্যে দক্ষিণ কলকাতায় কসবায় (Kasba) আইন কলেজের এক পড়ুয়ার উপর যে নৃশংস অত্যাচার চালানো হয়েছে, তার জন্য তাঁকেই দায়ী করছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র (Madan Mitra)। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘এই ঘটনার নিন্দা করার ভাষা আমার নেই। দুনিয়ার সবচেয়ে নোংরা কাজ এটা। কসবার এই ঘটনায় মেয়েদের কাছে, পড়ুয়াদের কাছে একটা বার্তা পৌঁছে গিয়েছে। যদি চেনা-পরিচিত কেউ ডাকে, যেদিন কলেজ বন্ধ, পরীক্ষা চলছে, ইউনিটের কিছু বানিয়ে দেবে, যেও না। ভালো হবে না। মেয়েটা ওখানে না গেলে এই ঘটনা ঘটত না। যদি যাওয়ার সময় কাউকে বলে যেত, দু'জন বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে যেত, তাহলে এই ঘটনা ঘটত না। যে এই নোংরা কাজ করেছে, সে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে। আমাদের পার্টি এমন কাজকে কখনও রেয়াত করবে না।’

ধর্ষণ নিয়ে বারবার বেফাঁস মন্তব্য

অতীতে পার্ক স্ট্রিট থেকে গাড়িতে তুলে এক মহিলার গণধর্ষণের ঘটনা নিয়েও বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন মদন। তিনি ওই মহিলার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এবার কসবার ঘটনায় ছাত্রীর অসাবধানতাকেই দায়ী করছেন শাসক দলের এই নেতা। তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য লিখেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ঘনিষ্ঠ সহযোগী মদন মিত্র ফের অসম্মানজনক মন্তব্য করলেন। তিনি বলেছেন, মেয়েটা যদি না যেত, তাহলে এটা হত না। ও যদি কাউকে জানাত বা সঙ্গে করে দুই বন্ধুকে নিয়ে যেত, তাহলে এটা এড়ানো যেত। এটা নির্যাতিতাকেই দোষারোপ করা। জঘন্য মন্তব্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপোকে আড়াল করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস ফের একজন মেয়ের পাশে দাঁড়ানোর বদলে অপবাদ দিচ্ছে। তৃণমূলের শিকারীদের হাত থেকে বাংলার কোনও মহিলাই সুরক্ষিত নয়। মদন মিত্রদের কথা যত কম বলা যায় ততই ভালো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু কুকর্মের সহযোগী নন, উনিই সমস্যা।’

Scroll to load tweet…

অভিযুক্তদের সঙ্গে দলের সম্পর্ক অস্বীকার মদনের

কসবার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শাসক দলের নেতা বলে জানা গিয়েছে। তার সঙ্গে শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের ছবি দেখা গিয়েছে। যদিও তার সঙ্গে শাসক দলের যোগ থাকার কথা অস্বীকার করেছেন মদন। কারও সঙ্গে ছবি থাকলেই তাকে শাসক দলের নেতা বলা যাবে না।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।