- Home
- West Bengal
- Kolkata
- পুজোর আগেই যাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদ, এয়ারপোর্ট থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম যাওয়া যাবে না একবারে
পুজোর আগেই যাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদ, এয়ারপোর্ট থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম যাওয়া যাবে না একবারে
Kolkata Metro News: উৎসবের মরশুম শুরুর আগেই মেট্রো যাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদ। এবার এয়ারপোর্ট থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম যাওয়া যাবে না একবারে। বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…

রাতের শহরে বন্ধ মেট্রো পরিষেবা
৩ সেপ্টেম্বর বুধবার থেকে কলকাতার নীল লাইনে দমদম ও শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশন থেকে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে চলা বিশেষ পরীক্ষামূলক নাইট মেট্রো পরিষেবা আপাতত বন্ধ রাখা হবে। মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কবি সুভাষ স্টেশনে পরিষেবা স্থগিত থাকা, অপারেশনাল জটিলতা এবং রক্ষণাবেক্ষণ–সংক্রান্ত কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কবে থেকে পরিষেবা পুনরায় চালু হবে, তা পরে জানানো হবে।
মেট্রো লাইনে ফের পরিষেবা বিঘ্নিত
এদিকে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন সাময়িক বন্ধ। ভিড় নিয়ন্ত্রণে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন সাময়িকভাবে বন্ধ থাকায় নীল লাইনে রেক উল্টোদিক ঘোরাতে সময় বাড়ছে। এবং তাতে যাত্রীসেবা ব্যাহত হচ্ছে। শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশনে যাত্রী নামিয়ে খালি রেক কবি সুভাষে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এবং ফের সেখান থেকে শহিদ ক্ষুদিরামে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এর ফলে রেক রিভার্সালের সময় বেড়ে গিয়ে নীল লাইনে জট তৈরি হচ্ছে। বাড়ছে যাত্রী ভোগান্তি।
শর্ট টার্মিনেট করা হচ্ছে মেট্রো
এই পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কিছু মেট্রো মহনায়ক উত্তম কুমার স্টেশনে শর্ট টার্মিনেট করা হচ্ছে। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে কবি নজরুল থেকে আপ লাইন ট্রেন এবং রবীন্দ্র সরোবর থেকে ডাউন লাইন ট্রেন মহনায়ক উত্তম কুমারে পৌঁছতে পারছে না। এর সঙ্গে রেকের দরজা বন্ধ করতে অসুবিধা হওয়ায় সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে।
সমস্যা মোকাবিলায় মেট্রোর পদক্ষেপ
1. হলুদ লাইন (এয়ারপোর্ট–নোয়াপাড়া) পরিষেবা নীল লাইন (নোয়াপাড়া–শহিদ ক্ষুদিরাম) থেকে আলাদা করা হয়েছে, যাতে একে অপরের ওপর চাপ না পড়ে।
2. নীল লাইনের ট্রেন সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে, যাতে অতিরিক্ত চাপ এড়ানো যায়।
3. বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু হওয়ার আগে ৩টি রেক মহনায়ক উত্তম কুমার এবং আরও ৩টি রেক নোয়াপাড়া স্টেশনে রাখা হবে।
কবে চালু হচ্ছে ফের মেট্রো পরিষেবা?
টালিগঞ্জ কারশেড ফের চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা উৎসব মরশুমের আগে প্রস্তুত হওয়ার কথা।
এছাড়া, সপ্তাহান্তের নন-কমার্শিয়াল সময়ে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যাতে সপ্তাহের কর্মদিবসের সকালবেলার পরিষেবায় কোনও ব্যাঘাত না ঘটে ।

