- Home
- West Bengal
- Kolkata
- Kasba Law College: কলেজের ভিতরেই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, সিট গঠন করে তদন্ত পুলিশের
Kasba Law College: কলেজের ভিতরেই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, সিট গঠন করে তদন্ত পুলিশের
Kasba Law College News: সাউথ ক্যালকাটার কসবা ল কলেজ ক্যাম্পাসে আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষনের অভিযোগে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। সময় যত গড়াচ্ছে ততই চড়ছে উত্তেজনার পারদ। এই আবহে ধর্ষণ কাণ্ডে বিরাট পদক্ষেপ কলকাতা পুলিশের। বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি

কসবা কাণ্ডে রাজনৈতিক উত্তেজনা
শনিবার সকাল থেকেই চড়ছিল কসবা কাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, উত্তেজানা। পথে নামে বিজেপি ও কংগ্রেস। গড়িয়াহাটের কাছে ব্যারিকেড করে বিজেপির মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে বড় পদক্ষেপ
কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সিট গঠন করল কলকাতা পুলিশ। অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার কলকাতা পুলিশ রবিন কুমার ঘোষালের নেতৃত্বে এই বিশেষ টিম কসবা কাণ্ডে তদন্ত করবে।
কসবা কাণ্ডে সিট গঠন
কসবা কাণ্ডের পুন: গঠন করবে কলকাতা পুলিশ। কসবা কাণ্ডে মেডিকো লিগ্যাল পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে এই মেডিকো লিগাল পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত। নখের আঁচড় থেকে শুরু করে যাবতীয় প্রমাণ খুঁজে পেতে এই সিদ্ধান্ত।
কসবা কাণ্ডে নিরাপত্তারক্ষীর জেল হেফাজত
এদিকে, কসবাকাণ্ডে গ্রেফতার কলেজের নিরাপত্তারক্ষী। তার সঙ্গে সঙ্গে ধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে হল ৪। ধৃত গার্ডকে শনিবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হলে তদন্তের স্বার্থে তাকে ১ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতেই গ্রেফতার
সরকারি পক্ষের আইনজীবী সৌরিন ঘোষাল জানান, গার্ডের সঙ্গে যোগসাজশ করেই নির্যাতিতার ওপর গণধর্ষণ চালায় অভিযুক্তরা। সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের ধর্ষিতা ছাত্রী জানিয়েছেন, ধর্ষণের ঘটনার আগে বারবার সাহায্য চেয়ে নিরাপত্তারক্ষীর থেকে সাহায্য মেলেনি।
অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ
অভিযোগ, মনোজিতদের নির্দেশ মিলতেই গার্ড রুম ছেড়ে বেরিয়ে যান ওই নিরাপত্তা রক্ষী। নিজের করা এফআইআর’এ অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছেন ধর্ষিতা ছাত্রী। কেন নিরাপত্তা রক্ষী নিজের কাজ করেননি, কেন সব জেনেও চুপ করে ছিলেন তিনি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নিরাপত্তা রক্ষীর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ।
ঘটনার সময় ডিউটিতে ছিলেন নিরাপত্তারক্ষী
২৫ জুন ঘটনার সময় ডিউটিতে ছিলেন ওই নিরাপত্তারক্ষী। ধৃত২ পড়ুয়াকে জেরা করে নিরাপত্তা রক্ষীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে দফায় দফায় জেরে করে প্রথমে আটক, তারপর গ্রেফতার করা হয়।
নিজের ঘরের বাইরে ছিলেন নিরাপত্তারক্ষী
ঘটনার সময় ইউনিয়ন রুমের বাইরে পাহারায় ছিল দুই আইন পড়ুয়া। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে এগারোটা পর্যন্ত, প্রায় চার ঘণ্টা সময় নিরাপত্তা রক্ষী নিজের ঘর থেকে বাইরে ছিলেন।
গণধর্ষণের প্রমাণ স্পষ্ট
নিজের কলেজেই গণধর্ষিতা হয়েছেন ওই আইনের ছাত্রী। ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে আগেই মনোজিত মিশ্র, প্রমিত মুখোপাধ্যায় এবং জেব আহমেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফরেন্সিক টিম উদ্ধার করেছে চুল। প্রমাণ মিলেছে ধস্তাধস্তিরও। নির্যাতিতার মেডিক্যালে গলায় কামড়ের দাগ, সারা শরীরে মারধরের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। যৌনাঙ্গে রয়েছে গভীর ক্ষত। সব মিলিয়ে গণধর্ষণের প্রমাণ স্পষ্ট।
স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ
কসবার আইন কলেজে তরুণী ছাত্রী ধর্ষণ হওয়ার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পদক্ষেপ করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। এই ঘটনায় কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানিয়ে তিন দিনের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে পুলিশকে। শনিবার রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছেও এই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।

