- Home
- West Bengal
- Kolkata
- আচমকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে এটা কী বলল রাজ্য! মিলল বিরাট আপডেট, জেনে নিন এক্ষুণি
আচমকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে এটা কী বলল রাজ্য! মিলল বিরাট আপডেট, জেনে নিন এক্ষুণি
- FB
- TW
- Linkdin
আট থেকে আশি, রাজ্যের মানুষের কথা মাথায় রেখে একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প (Government Scheme) এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী সহ আরও একাধিক প্রকল্প।
মুখ্যমন্ত্রীর চালু করা প্রকল্পগুলির মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar)।
এই প্রকল্পের আওতায় বাংলার মহিলাদের প্রতি মাসের অর্থ সাহায্য দেওয়া হয়। এবার এই লক্ষ্মীর ভান্ডার সহ রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প নিয়ে জারি হল নয়া নির্দেশিকা।
সম্প্রতি স্কুল পড়ুয়াদের ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের টাকা নয়ছয় হওয়ার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন।
এরই মধ্যে সম্প্রতি এক নির্দেশিকা জারি করে অর্থ দফতর তরফে বলা হয়েছে, যে সব দফতর বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেয় তাদের ১৬ দফা নির্দেশিকা মানতে হবে।
নয়া নির্দেশিকা অনুসারে, উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর আগে দু’বার করে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর-সহ যাবতীয় তথ্য ভাল ভাবে যাচাই করতে হবে।
প্রকল্পের টাকা সরাসরি উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর আগে, তার ব্যাঙ্ক পাসবইয়ের প্রথম পাতার প্রতিলিপি কিংবা ‘ক্যানসেল চেক’ নিতে হবে। উপভোক্তার নাম, অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং আইএফএসসি থাকবে সেখানে।
উপভোক্তা ঠিক কোন প্রকল্পে টাকা পাবেন, সে বিষয়ে দফতরকে নজর রাখতে হবে পাশাপাশি একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট একাধিক উপভোক্তার নামে যাতে না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
উপভোক্তার আইএফএসসি কোড রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তালিকা দেখে যাচাই করে নিতে হবে দফতরকে। উপভোক্তার অ্যাকাউন্ট সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে পশ্চিমবঙ্গ শাখার মধ্যে থাকতে হবে।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের অনুমোদন দিতে হবে গ্রুপ এ-র বা তার ওপরের পদের কোনো আধিকারিককে। কোনও লেনদেন বএকবার ফেল হলে সে ক্ষেত্রে সংশোধন নিয়ন্ত্রিত হবে।
সকল উপভোক্তার তথ্য যাচাই করবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অধীনস্থ এনপিসিআইএল। যদি দেখা যায় যাচাই করা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং আইএফএসসি উপভোক্তার নামের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে তাহলেই টাকা দেওয়া হবে।
উপভোক্তার নাম এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যদি কোনো কারণে না মেলে তাহলে সেদিকে নজর রাখতে হবে। একবার উপভোক্তাকে টাকা পাঠানোর পর তার ফোনেও এসএমএস পাঠাতে হবে। আবেদন মঞ্জুর বা বাতিল হলে সেক্ষেত্রেও এসএমএস পাঠাতে হবে ফোনে।
সংশোধনের ক্ষেত্রেও এসএমএস পাঠাতে হবে। অনলাইনে আবেদন জমা পড়লে অফলাইনে কাগজ, ফর্ম এসব গ্রহণ করা হবে না। অফলাইনে উপভোক্তা আবেদন করলে স্পষ্টভাবে উপভোক্তাদের তথ্য তুলতে হবে।
টাকা পাঠানোর পোর্টাল এবং বিভাগীয় পোর্টালের মধ্যে সমন্বয়ের বিষয়ে নজর রাখতে হবে। ফাইল ট্রান্সফারের অ্যাপ্লিকেশন লেটেস্ট ‘ভার্সানে’র হতে হবে। যে সব দফতর তরফে টাকা পাঠানো হচ্ছে তাদের মাসিক অথবা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সমস্ত কিছু পর্যালোচনা করে স্টেটমেন্ট পাঠাতে হবে।