সংক্ষিপ্ত

লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনা প্রায় শেষের পথে। রাজ্যজুড়ে কার্যত সবুজ ঝড়। যাদবপুরেও রেকর্ড ভোটে জয় তৃণমূলের।

লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনা প্রায় শেষের পথে। রাজ্যজুড়ে কার্যত সবুজ ঝড়। যাদবপুরেও রেকর্ড ভোটে জয় তৃণমূলের।

প্রসঙ্গত, চব্বিশের ভোটে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে লড়াই করেন দলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। অপরদিকে ছিলেন বিজেপির অনির্বাণ গাঙ্গুলি এবং সিপিএম-এর হয়ে প্রার্থী হন তরুণ ছাত্রনেতা সৃজন ভট্টাচার্য্য।

এককালে এই যাদবপুরকে বলা হত লালদুর্গ। একাধিক হেভিওয়েট নেতা নেত্রীর জয় পরাজয়ের কাহিনী রচিত হয়েছে এই যাদবপুরেই। সেই ১৯৭৭ সালে এই আসন থেকে জয় পান লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার তথা প্রয়াত সিপিএম নেতা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। তারপর ১৯৯৬ সাল, বিধানসভা নির্বাচনে ১ লক্ষ ৮ হাজার ৫৪৯ ভোট পেয়ে যাদবপুর থেকে জেতেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।

তারপর ২০০১ সালে, ব্যবধান আরও বাড়িয়ে ফের জেতেন তিনিই। এরপর ২০০৬ সালের বিধানসভা ভোটেও ফের ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৮৩৭ ভোটে জেতেন সেই বুদ্ধবাবুই। কার্যত ৬১.৩০ শতাংশ ভোট পান তিনি। অন্যদিকে, ২০০৪ সালে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। এমনকি, ২০১৬ সালে পালাবদলের পরও, এই যাদবপুর থেকে ৯৮,৯৭৭ ভোট পেয়ে বিধায়ক হিসেবে বিধানসভায় যান এই বাম নেতা।

কিন্তু যতই সময় এগিয়েছে, ততই যেন সেই লালদুর্গে ফাটল ধরতে শুরু করেছে। ক্রমশই, শক্তি বৃদ্ধি করে যাদবপুরে নিজেদের জমি পাকাপোক্ত করে তৃণমূল।

বঙ্গে বিজেপির উত্থান হওয়ার পর তারাও বারবার এই যাদবপুরকে টার্গেট করেছে। কিন্তু বামেদের হাত থেকে যাদবপুরকে ছিনিয়ে নেওয়ার পর যেন আরও বেশি করে এই কেন্দ্রে মনোনিবেশ করে ঘাসফুল শিবির। নির্বাচনী কৌশল থেকে শুরু করে সাংগঠনিক শক্তি কিংবা রাজনৈতিক পদক্ষেপ, এইসবকিছুকে সঙ্গী করেই যাদবপুর জয়ের জন্য ঝাঁপায় শাসক দল।

আর ফলাফল মিলল হাতেনাতে। চব্বিশের লোকসভা ভোটে প্রায় ৭ লাখেরও বেশি ভোট পেয়ে জিতলেন সায়নী ঘোষ। একদা লালদুর্গে যেন কার্যত সবুজ ঝড় দেখা গেল। বামেরা দ্বিতীয় স্থানেও নেই। ৪ লক্ষ ৫১ হাজার ৯০৯ ভোট পেয়ে সেই জায়গায় উঠে এসেছে বিজেপি। আর বামেরা রয়েছে তৃতীয় স্থানে। সিপিএম প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ২ লক্ষ ৫২ হাজার ২১০।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।