সংক্ষিপ্ত
আগামী ১ জুন শনিবার, রাজ্যে সপ্তম দফার লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগেই রীতিমতো আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গেল তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক এবং ডায়মন্ডহারবার লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়।
আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। আগামী ১ জুন শনিবার, রাজ্যে সপ্তম দফার লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগেই রীতিমতো আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গেল তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক এবং ডায়মন্ডহারবার লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়।
ইতিমধ্যেই গত ছয় দফার লোকসভা নির্বাচন শেষ। বাকি মাত্র এক দফা। আগামী শনিবার রাজ্যের ৯টি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। যার মধ্যে রয়েছে ডায়মন্ডহারবারও। আর সেই কেন্দ্র থেকেই ঘাসফুল শিবিরের হয়ে লড়াই করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হাতে মাত্র বাকি কয়েকদিন। তাই শেষ লগ্নের প্রচারে এসে সুর চড়ালেন তিনি। মঙ্গলবার, ডায়মন্ডহারবারের একটি জনসভায় যোগ দিয়ে বিজেপি এবং সিপিএমকে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। তাঁর গলায় কার্যত চ্যালেঞ্জের সুর।
তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জনসভায় এসে বলেন, “আজ আমি একটা কথাই বলতে চাই। আমাদের রাজ্যে গত ৬ দফায় ৩৩টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এখনও ৯টি আসনে নির্বাচন বাকি আছে। শুনে রাখুন, তৃণমূল ইতিমধ্যেই ২৩টি আসন অতিক্রম করে গেছে। এটা আমার চ্যালেঞ্জ। মিলিয়ে নেবেন আগামী ৪ জুন। এটাই আমার দাবি।”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও যোগ করেন, “বহিরাগত আসে বহিরাগত যায়, বাংলা নিজের মেয়েকে চায়। আপনার বিপদে আপদে কোনও বিজেপি নেতা, সিপিএম-এর কর্মী, সমর্থক এবং নেতাদের পাশে পাবেন না। একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস পাশে দাঁড়িয়েছে। যখনই মানুষ পেয়েছে ভয়, ঘরের ছেলে গিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। বহিরাগতরা নয়। আমরা তাই মানুষকে বলেছি, আপনার দুঃখে তৃণমূল ছিল, আছে আর থাকবে।”
তিনি জানান, বিজেপি বুঝতে পেরেছে যে তাদের হার নিশ্চিত। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দোষারোপ করছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, “লোকসভা ভোটের সময়তেও কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার করছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। গতকাল আমাকে ইনকাম ট্যাক্সের একজন অফিসার ফোন করে বললেন যে, তাঁকে ৩১ মে এবং ১ জুন পাঁচটি জায়গায় অভিযান চালাতে বলা হয়েছে। এই হল বিজেপির অবস্থা। কিন্তু আমরা শুধু জনগণের জন্য কাজ করতে এসেছি। কারও কাছে আমরা হাত পাতব না।”
ডায়মন্ডহারবারের প্রাক্তন সাংসদ দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীও জানে যে আগামী ৪ জুন ‘ইন্ডিয়া’জোট দিল্লীতে সরকার গঠন করবে। তাঁর কথায়, “ডায়মন্ডহারবার লোকসভার অন্তর্গত গ্রামগুলিতে সিপিএম-এর আমলে কোনও রাস্তাই হয়নি। আর আমরা এই ডায়মন্ডহারবার লোকসভায় ১০০ কোটি টাকার রাস্তা করেছি গত এক বছরে। গত দশ বছরে ডায়মন্ডহারবার লোকসভায় আমরা ৫৫৮০ কোটি টাকার কাজ করেছি। বিজেপি-সিপিএমের নেতারা এসে বলছে গণতন্ত্র লুণ্ঠিত। আর ওদের একমাস লাগে প্রার্থী খুঁজতে।”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সারাবছর মানুষকে আমরা পরিষেবা দিই। ওরা নির্বাচনে টাকা ছড়ায়। তাই ওদের কোথায় কান দেবেন না। উৎসবের মেজাজে আপনারা মাথা উঁচু করে ভোট দিতে যাবেন। আর দু-নম্বরি নেতাগুলোর দিল্লীতে ভবিষ্যৎটা অন্ধকার করে দেবেন”
সবমিলিয়ে, ভোটের আগেই যেন সিপিএমকে এবং বিজেপিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।