সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় লিখেছেন, আজ সল্টলেক স্টেডিয়ামে যে অব্যবস্থাপনা দেখা গেছে, তাতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও হতবাক। আমি হাজার হাজার ক্রীড়াপ্রেমী ও ভক্তদের সাথে অনুষ্ঠানটিতে যোগ দিতে স্টেডিয়ামের দিকে যাচ্ছিলাম
মেসি উন্মাদনায় চরম বিশৃঙ্খলা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। প্রিয় ফুটবলার লিওনেল মেসিকে দেখতে হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কিনে ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেসিকে দেখতে পাননি তাঁর অগণিত অনুগামী। এই ঘটনায় মেসি থাকাকালীনই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন নির্ধারিত সময়ের আগেই ছেড়ে দেন মেসি। তারপরই শুরু হয়ে যায় ভাঙচুর। এই গোটা ঘটনায় মেসির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি গোটা ঘটনার দ্রুত তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি টুইট করেন। তাঁরও মাঠে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনিও মাঠে যাননি। যুবভারতীতে যাননি শাহরুখ খানও।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তাঃ
সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় লিখেছেন, 'আজ সল্টলেক স্টেডিয়ামে যে অব্যবস্থাপনা দেখা গেছে, তাতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও হতবাক। আমি হাজার হাজার ক্রীড়াপ্রেমী ও ভক্তদের সাথে অনুষ্ঠানটিতে যোগ দিতে স্টেডিয়ামের দিকে যাচ্ছিলাম, যাঁরা তাঁদের প্রিয় ফুটবলার লিওনেল মেসিকে এক ঝলক দেখার জন্য জড়ো হয়েছিলেন।
এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য আমি লিওনেল মেসি, সেইসঙ্গে সকল ক্রীড়াপ্রেমী ও তাঁর ভক্তদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
আমি বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) অসীম কুমার রায়ের সভাপতিত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করছি, যার সদস্য হিসেবে থাকবেন মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব। এই কমিটি ঘটনাটির বিস্তারিত তদন্ত করবে, দায়বদ্ধতা নির্ধারণ করবে এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের সুপারিশ করবে।
আরও একবার, আমি সকল ক্রীড়াপ্রেমীর কাছে আমার আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি।'
সল্টলেক স্টেডিয়ামে জলের বোতল নিয়ে প্রবেশ নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছে। তেমনই গোটা ঘটনায় প্রথম দিকে পুলিশ ছিল নীরব। তেমনই অভিযোগ উঠেছে। অথচ মাঠে ছিলেন পুলিশ কর্তা রাজীব কুমার। জাভেদ সামিমও ছিলেন। যদিও প্রবল ভাঙচুরের পর জাভেদ সামিম বলেছেন, গোটা ঘটনা নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু ততক্ষণে হাজার হাজার টাকা দিয়ে মেসিকে দেখতে না পেয়ে দর্শকরা ক্ষোভ উগরে দিতে মাঠে রীতিমত তাণ্ডব চালিয়ে গেছেন। যার প্রমাণ বহন করছে ঐতিহ্যবাহী যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন।


